পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অঃ ১২৮২) চ্ছদ এবং বাসস্থান বিষয়েও কাছাকে অভাব অনুভব করিতে ছইত না । এ অবস্থায় মনুষ্য ৰে ভোগৈশ্বৰ্য্য-পরায়ণত হইতে আর এক সোপান উচ্চে উঠিবার চেষ্টা করিবে, ইছ বিচিত্র নহে, বরং মধ্যে মধ্যে দেশ-বিশেষে, কাল-বিশেষে ও পাত্র-বিশেষে ইছার যে অন্যথা দেখা যায়, তাছাই বিচিত্র। মনুষ্যের অধিকার যেরূপ উচ্চ, তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্রও সেইরূপ প্রশস্ত । যখন ইছ-জীবনের উপকরণ সামগ্ৰী সকল অধিকারায়ত্ত ছইল, তখন যদি মনুষ্য অনন্ত জীবনের উপজীবিকার প্রতি যত্ব নিয়োগ না করিবে, তবে আর করিবে কি ? যদি আদ্যকার অন্ন সংগ্ৰছ করিয়া থাকে, তবে কল্যকার অন্ন সংগ্রছ না করিয়া মনুয্য আর করিবে কি ? যখন আপনার এবং আত্মীয় স্বজনের সুখ-স্বচ্ছন্দতার কোন অভাব রছিল না, তখন দেশের সুখ-স্বচ্ছন্দতা উপলক্ষে কাৰ্য্য না করিয়া মনুষ্য আর করিবে কি ? যখন দৈহিক ও মানসিক অভাব সকলের যথেষ্ট"প্রতীকীর কf ছইল, তখন আধ্যাত্মিক অভাব সকষ্ট্রে মোচন না করিয়া মনুষ্য আর করিবে কি ? অতএব নিস্ব সোপান হইত্তে উচ্চ সোপানে আরোহণ না করিয়া মনুষ্য কোন প্রকারেই ক্ষাত্ত থাকিত্তে পারে না । স্বার্থের জন্য যাহা প্রয়োजन, एकांश! यभंन इखांझड इहेम्नांCछ, পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র । ఫిఫి তখন পরমার্থের উদ্দেশে কার্য্য না করিয়া মনুষ্য কোন রূপেই তৃপ্তি লাভ করিতে পারে না। ক্লেশ-নিবৃত্তির ইচ্ছা, জীবমাত্রেরই স্বতাবসিদ্ধ। কিন্তু এ বিষয়ে অনু্যান্য জীবের সহিত মনুষ্যের প্রভেদ এই যে, মনুষ্যের জ্ঞানের উন্নতি অনুসারে উক্ত ইচ্ছার ক্ষেত্র ক্রমশই প্রসারিত হয়। অসভ্য মনুষ্য, উপস্থিত ক্ষণিক ক্লেশ নিবৃত্ত হইলেই নিশ্চিন্ত হয় ; সত্যব্যক্তি আপনার বা আত্মীয় স্বজনের ঐছিক ক্লেশ নিবৃত্তি হুইলেই নিশ্চিন্ত হয় ; কিন্তু জ্ঞানী ব্যক্তি, কি ঐহিক, কি পরিত্রিক, কি স্বকীয়, কি পরকীয়, কি শারীরিক, কি আধ্যাত্মিক সকল প্রকার ক্লেশের সম্পূর্ণ নিবৃত্তির প্রতি লক্ষ্য না করিয়া ক্ষণস্ত থাকিতে পারেন না । শেষোক্তরূপ উচ্চ লক্ষ্য হইতেই সাংখ্য এবং পাতঞ্জল দর্শন প্রস্থত হুইয়াছে । পতঞ্জল এবং সাংখ্য উভয় দর্শনই ক্লেশের অত্যস্তিক এবং ঐকান্তিক নিবৃত্তিকে মুক্তির লক্ষণ বলিয়া স্থির করিয়াছেন। ক্ষণিক মুখ এবং দুঃখ উভয়ই পাতঞ্জলের । যোগশাস্ত্রে ক্লেশ বলিয়। উক্ত হইয়াছে । পাতঞ্জলের দ্বিতীয় পাদের পঞ্চদশ সুত্র এই ষে,— e “ পরিমাণ-তাপ-সংস্কার-ছুঃখৈগুণৱত্তিবিরোধাচ, দুঃখময় সৰ্ব্বং বিবেকিমঃ ।” - -