পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩e বলফল | dy (জ্ঞানকুর চৈঃ, ১২৮২ ছিল সরসীতে—এক ছটু জল ছুটিয়া ছুটিয়া যেতেম মাঝে চাদের ছায়ারে, গিয়া ধরিবারে আসিতাম পুনঃ ফিরিয়া লাজে ! তট দেশে পুনঃ ফিরি আসি পর অভিমান ভরে ঈষৎ রাগি চাদের ছায়ায় ছড়িয়া পাথর মারিতাম, জল উঠিত জাগি । যবে জলধর শিখরের পর উড়িয়া উড়িয়া বেড়াত দলে শিখরেতে উঠি বেড়াতাম ছুটি কাপড় চোপড় ভিজিত জলে ! কিছুই-কিছুই –জানিতাম নারে কিছুই হায়রে বুঝিতাম না জানিজাম হারে—জগৎ মাঝtরে আমরাই বুঝি আছি কজন ! পিতার পৃথিবী, পিতার সংসার একটি কুটীর পৃথিবী তলে— জানিন কিছুই ইহা ছাড়া অঙ্গর পিতার নিয়মে পৃথিবী চলে ! অামাদেরি তরে উঠেরেতপন আমাদেরি তরে চাদিম উঠে আগমণদেরি তরে বছেগে৷ পবন আমাদেরি তরে কুসুম ফুটে ! চাইন জ্ঞেয়ান, চাইন জানিতে সংসার, মানুষ কাছারে বলে । বনের কুসুম-ফুটিতাম বনে শুকায়ে যেতেম বনের কোলে । জানিব অমারি পৃথিবী ধরা— খেলিব হরিণ শ বিক সনে— পুলকে হরষে হৃদয় ভরা, বিষাদ ভাবন নাছিক মনে । তটিনী হইতে তুলিব জল, ঢালি ঢালি দিব গাছের তলে পার্থীরে বলিব “কমল বল” শরীরের ছায়া দেখিব জলে ! জেনেছি মানুষ কাহারে বলে ! জেনেছি হৃদয় কাহারে বলে ! জেনেছিরে হয় ভাল ৰাসিলে কেমন অণগুণে হৃদয় জ্বলে ! এখন আবার বেঁধেছি চুলে বহুতে পরেছি সোনার বালা ! উরসেতে হার দিয়েছি তুলে, কবরীর মাঝে মণির মালা ! বাকলের বাস ফেলি য়াছি দূরে— শত শ্বাস ফেলি তাহীর তরে, মুছেছি কুমমরেণুর সি দূরে আজো কঁদে হৃদি বিষাদ ভরে ! ফুলের বলয় নাইক হাতে কুসুমের হার ফুলের সিখিকুসুমের মাল জড়ায়ে মাথে স্মরণে কেবল রাখিনু গঁথি ! এলে এলে চুলে ফিরিব বনে ৰুখে ৰুখে চুল উড়িবে বায়ে ! ফুল তুলি তুলি গহনে বনে মালা গাধি গঁথি পরিব গায়ে ! হায়রে সেদিন ভূলাই ভালো! সাধের স্বপন ভাঙ্গিয় গেছে ! এখন মানুযে বেসেছি ভালো— হৃদয় খুলিব মানুষ কাছে ! হাসিৰ কঁদিব মানুষেরি তরে মানুষের তরে বাধিব চুলেমাখিব কাজল অণখিপাত ভরে কবরীতে মণি দিবরে তুলে ! ੋਨ਼