পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান ক্ষুর বৈঃ, ১২৮৩) এমন ভাব কেন হয়, তাহ! কিছুতেই বুঝিতে পারা যায় না। আমরা অনেক অনুসন্ধানেও কিছু জানিতে পারি নাই ।” স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসিল,“তবে অদ্য র্তার কাছে কেহই থাকে না ? তিনি দিন রাত্র একাই থাকেন ?’ যুবক কহিল,--- “কয়েক বৎসর হতে তিনি এক সঙ্গিনী পেয়েছেন, কেবল সেই নিকটে থাকে ; তাহার উপরেই সম্পূর্ণ বিশ্বাস। এমন মেয়েও আমরা কখনো চক্ষে দেখি নাই ! যেমন রূপ তেমনি গুণ !' স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসিল,-- “আনন্দময়ী দেবীর যে এক পুত্ৰ ছিল তারও কি মৃত্যু হয়েছে।” যুবক কহিল,— “মরেন নাই, জীবিত আছেন । কিন্তু তিনি মায়ের নিকট প্রায়ই আসেন না। তিনি মিষ্ট স্বভাবের লোক মন । তীর নাম শশিশেখর রায় ।” স্ত্রীলোকটী এই কথা শুনিয়া একবার উৰ্দ্ধে দৃষ্টিপাত করিল এবং অনুচ্চ স্বরে কছিল,— “শশিশেখর রায় ; নামটা শুনিতে षशूल !” তৎপরে যুবককে সম্বোধন করিয়া কহিল,— শ্রীপঞ্চমী | & 83 “যাহা হুউক, আমি আজ একবার আনন্দময়ী দেবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো । বাবা ! যদি আমাকে পথ দেখাইয়া দেও, তবে আমি একবার র্তার কাছে যাই ।” যুবক কহিল, —— “পথ বরাবর সোজা, কোম দিকে বেঁকিতে হইবে না। তবে আমি একথা ঠিক করে বলতে পারি যে, তোমার পরিশ্রম বৃথা হইবে । বাছ কেন কৰ্ম্মভোগ করিতে যাবে ?” স্ত্রীলোক কহিল,— “কৰ্ম্মভোগ হলেও হতে পারে, কিন্তু বাপু আমি অনেক দূর হতে এসেছি—একবার শেষ পর্য্যন্তু ম৷ দেখে ফিরে যেতে পারি না । আর আমার বোধ হয় যে আনন্দময়ী দেবী আমার প্রতি দয়া করিয়াও র্তার নিয়ম ভঙ্গ করতে পারেন । বাপু ! আমাকে বরণ কর না—আমি একবার যাই । এই পথেই যাব কি ?” পুৰুষ কছিল,— “এই পথেই যাও—সরি গ fছের জন্য পথ ঘোর অন্ধকার হয়েছে । সাবধানে যাবে। একটু গেলেই সদর দরজা ; বাগানে প্রবেশ করেই বাড়ী দেখতে পাবে। স্ত্রীলোক কহিল,— “বাব তুমি চিরজীবী হয়ে থাক । আমি চল্লেম ।