পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ, ১২৮৩) র্তাহাকে নিখুত সুন্দরী প্রতিপন্ন করিতে যার পর নাই যত্ন করেন । অব- ; শেষে তাহাতেও মনের তৃপ্তি সাধন হয় না দেখিয়া ‘এমন হয় নাই, হইবে ন,-দেখি নাই দেখিব না? ইত্যাদি বাক্য-বিন্যাস করিতেও ক্রটি করেন না। নিখুঁত সুন্দরী জগতে কেছ দেখি য়াছেন কি ? নিখুত সুন্দরীর বিদ্য- | মনত আমরা বিশ্বাস করিতে পারি ন – মনেও ধারণা করিতে পারি না। যে যুবতীর সর্বাবয়বের সমষ্টি দর্শনে দশকের চিত্ত-প্রফুল্ল হয়, তাছাকেই আমরা সুন্দরী বলিতে পারি । তাছার শরীরে অবশ্যই খুঁত থাকিতে পারে, কিন্তু তাহাতে তাহার অঙ্গ সৌষ্ঠবের কোন হানি নাই। আমরা যে যুবতীর কথা উল্লেখ করিতেছি, তিনি সুন্দরী-পরমাসুন্দরী । তাছার রূপে মন মোহিত হয় । যাহা দেখিলে মন মোহিত হয়, অন্তর প্রফুল্লিত হয়, আবার দেখিতে ইচ্ছা হয়, দেখিলে যেন মুখী হই, তাহাকে অবশ্যই ভাল বলিব । যুবতী পরমাসুন্দরী । তাছার নাম সুকুমারী, যুবতীর হস্তে এক খানি হস্তলিখিত পুস্তক রহিয়াছে । তাহার চক্ষুসেই পুস্তকেই নিবিষ্ট। বৃদ্ধ নিবিষ্ট মনে যুবতীর গ্রন্থ পাঠ শ্রবণ করিতেছেন। বৃদ্ধ যে গৃহস্বামিনী আনন্দময়ী দেবী এ কথা বলিয়া দিবার প্রয়োজন নাই । বৃদ্ধার বয়ঃক্রম ৪০ বৎসরের ❖ 8ፅ | অধিক নহে, কিন্তু র্তাহাকে দেখিলে ৫০ কি ৫৫ বৎসরের বলিয়া বোধ হয় । যুবতী পাঠ করিতেছেন,— “পুত্র দরশনে দেবী অজ্ঞান হুইল । গান্ধারী মরিল বলি সকলে ভাবিল ॥ পঞ্চ পাণ্ডবেতে র্তারে তুলিয়া ধরিল শ্ৰীকৃষ্ণ সত্যকি আদি বহু প্ৰবোধিল ॥ * সম্বিত পাইয়া তবে গান্ধীর তনয় । কৃষ্ণকে বলিল আতি শোকাকুল হয় ৷ দেখ কৃষ্ণ পড়িয়াছে রাজ দুর্য্যোধন । সঙ্গেতে না দেখি কেন কর্ণ দুঃশাসন ৷” বৃদ্ধ কহিলেন,— “মুকুমার । আর পড়ায় এখন প্রয়োজন নাই । গান্ধারীর বিলাপে বুক ফেটে যায়। আর শুন্তে পারি না । পুথি রাখ—এখন অন্য অন্য কথা বার্তা কহা যাক ৷” সুকুমারী পুস্তক রাখিলেণ—রাখিয়া আনন্দময়ী দেবীর মুখের দিকে স্থির দৃষ্টি নিবেশিত করিলেন। বৃদ্ধ কছিলেন,— “মুকুমার ! আমি তোমার কথা শুন্তে বড় ভাল বাসি । তোমার গুণে আমি মোহিত হয়েছি। যত ক্ষণ তুমি আমার কাছে থাক, ততক্ষণ অামার মন আনন্দে ভাসতে থাকে। তোমাকে আমি নিজ কন্যার ন্যায় স্নেহ করি । তুমি আমাকে মায়ের মত ভাব বলেই আমার এত স্নেহ ।”