পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ 89 অতীব বিনয় ও ভক্তি গদগদ স্বরে সুকুমারী কহিলেন,— ‘ম ! স্নেহ, ভালবাসা এ সকল কাকে ও শিখাতে হয় না । শিখালে চলে ও না। এ সকল মনের কাজ । আপনি আমাকে কন্যার অপেক্ষ ও অধিক ক্ষেহ করেন, কাজেই মনে মনে আপনার উপর অরুত্রিম ভক্তি এবং ভালবাস জন্মিবে তার অণর সন্দেহ কি ?” আনন্দময়ী দেবী মুগ্ধর ন্যায় সুকুমারীর বদন প্রতি চাহিয়া রহিলেন । সহসা তাহার বদনে আনন্দ চিহ্ন সমস্ত দেখা দিল । ছাসিয়া কহি লেন, — “সুকুমার ! তোমার পূর্ব বিবরণ আমি তোমার মুখে অনেকবার শুনিয়াছি । এখন সেই বিবরণের এক বিশেষ প্রয়োজন উপস্থিত। বয়স দোষেও বটে, মনের অস্থিরতায়ও বটে, যা শুনি তা সব ঠিক মনে থাকে না । বাছা! আজ একবার তোমার সেই কাহিনী বল তো ?” সুকুমারী হাসিয়া বলিলেন,— “মা ! সে পুরাণ কথা ভালও লাগে তো?” আনন্দময়ী কছিলেন,— *"বাছা ! তোমার কথা হাজার পুরাণ ও নীরস হলেও আমার কর্ণে অমৃতবর্ষণ করে । • যুবতী কছিলেন,— ৷৷পঞ্চমী । (জ্ঞানাঙ্কুর “শুনুন তবে । বলিহারের নিকট আমাদের বাস । নাটোরের রাজ সংসারে কৰ্ম্ম করিয়া পিতা কিছু সঞ্চয় করিয়াছিলেন। চোঁদ বৎসর বয়ঃক্রম কালে মাতা পিতার মৃত্যু হইল । সংসারে আর সসম্পকীয় কেহই থাকিলেন না । মাতা পিতা আমাকে পথের ভিখারিণী করিয়া গেলেন। সংসার যেন অন্ধকার বোধ হইতে লাগিল । পিতা বৃদ্ধবয়সে কিছু ঋণগ্রস্ত হন । । তাহার মৃত্যুর পর জানিতে পারিলাম যে, বাট খানি পর্য্যন্ত বন্ধক আছে। গৃছে যে সকল দ্রব্যাদি ছিল, তাছা বিক্রয় করিয়া অনেক ঋণ পরিশে{থ করিলাম। যাহার নিকট বন্ধক ছিল, সে ব্যক্তিও ক্রমে উৎপীড়ন আরম্ভ করিল । বাট ছাড়িয়া দিয়া এক প্রতিবেশিনীর গৃহে আশ্রয় লইলাম । সে আশ্রয়ে কত দিন চলে ? মনে কত কি ভাবিতে লাগিলাম—কিছুতেই মনস্থির হয় না । দিব। নিশি কেবল কাদিয়াই কাল যাপন করি । এমন সময় লোক পরম্পরায় জানিতে পারিলাম আপনার একজন সহচরীর প্রয়োজন। গ্রাম পথ কিছুই জালি না। দশহরার গঙ্গাস্বান করিতে আমাদের গ্রামের কতকগুলি যাত্রী যাইতেছিল । আমি সেই সঙ্গে বাট হইতে বহির্গত ছইলাম। এখানে আসিয়া আপনার সন্ধান লইয়া জানিলাম যে আপনার