পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ,১২৮৩) যথার্থই এক জন সহচরীর প্রয়োজন । আমি প্রার্থনা করিব মাত্র আমার মনোরথ সিদ্ধ হইল । আশয় পাইলাম—আপনার ক্ষেহে বশীভুত হইলাম। দেখিলাম জগদীশ্বর আমাকে মা মিলাইয়া দিলেন। শোক তাপ ভুলিয়া গিয়া আমি আপনার সেবায় নিযুক্ত হইলাম-আপনিও দিন দিন আমার উপর সন্তুষ্ট হইতে লাগিলেন। বৃদ্ধা দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “সুকুমার ! তোমার গুণে কে না বশীভূত হয় । সকল স্থানেই তুমি মা পাইতে, তবে ভগবান অনুকুল হয়ে তোমাকে আমার মিলিয়ে দিয়েছেন । তোমার আসা অবধি আমি আর দুঃখ কাহাকে বলে তা জানি না ।” যুবতী কছিলেন, – “মা ! আপনার সুখেই আমার সকল সুখ । আপনাকে সুখী করিতে পারিলেই আমি মুখে থাকিব, তার আর সন্দেহ কি ?” আনন্দময়ী দেবী পুলকিত হৃদয়ে ও হাস্য বদনে সুকুমারীর হস্ত ধারণ পূৰ্ব্বক তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন এবং শিরশচুম্বন করিয়া কহিলেন— “মা এখন একটু বিশ্রাম কর—রাত্রি অনেক ছয়েছে।” - যুবতী সোৎসুকে কক্ষণস্তরে চলিয়া গেলেন । আনন্দময়ী একাকিনী খ্রীপঞ্চমী $8ጭ রছিলেন। এমন সময় এক জন ভৃত্য অগসিয়া কছিল,—“এক অপরিচিত স্ত্রীলোক আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছে।” বৃদ্ধ চমৎকৃত হইয়া কছিলেন, “কি ! অপরিচিত স্ত্রীলোক ! আজি ঔশ্রীপঞ্চমী—আমি তো আজ কারে সিঙ্গে সাক্ষাৎ করি না ।” ভূভ্য কছিল, “আমি সে কথা বলিয়াছি কিন্তু সে কোন মতেই শুনিল ন। সে বলে যে আমি অনেক দূর ছতে এসেছি, সাক্ষাৎ না করে যেতে পারি না। আমার বিষয়ে দেবী অবশ্যই একটু অনুগ্রহ করবেন।” বৃদ্ধ কহিলেন “আমি কোন মতেই নিয়ম ভঙ্গ করিতে পারি না । আজ তাকে বিশ্রাম করিতে বল কল্য সাক্ষাৎ হুইবে । ভূত্য বলিল “ আমি সে কথা বলিয়াছি কিন্তু সে কোন মতেই শুনে না । শেষে আপনার দেখিবণর জন্য এই পত্র খানি দিয়াছে। * আনন্দময়ী দেবী পত্র খানি পাঠ করিয়া সিহরিয়া উঠিলেন—করকপোল ংলগ্ন হুইয়া একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন; ক্ষণেক চিন্তার পর কহিলেন,— “ভাল, সে স্ত্রীলোককে আসিতে বল, কিন্তু সাবধান যতক্ষণ সে আমার নিকট থাকিবে, ততক্ষণ যেন অন্য কেছ এ ঘরে না আসে ।