পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর ধৈঃ, ১২৮৩) আবার বসিয়া পড়িলেন । তখন মৃদুস্বরে কছিলেন,— “শশিশেখর তোমার পুত্ৰ—তুমি তার গর্ভধারিণী। তোমার এ অতি সাহসের কথা—ভয়ানক কথা । তোমার এ সকল কথা যে সত্য তার প্রমাণ কি ? প্রমাণ ভিন্ন এ কথা কে বিশ্বাস করিবে ?” মন্দাকিনী কহিল,— “আমার বিশেষ প্রমাণ অাছে । আর তোমার বর্তমান অবস্থাই আমার উত্তম প্রমাণ ।” আনন্দময়ী সাহস ভরে কছিলেন,— “আমার কি অবস্থা দেখিলে ? ” মন্দাকিনী কহিল,— “তোমার চক্ষে তেজ নাই—কথায় সাহস নষ্ট । অধিক কি বলিব, হয়তে আমার কথায় তোমার হৃৎকম্প উপস্থিত হইয়াছে।’ আনন্দময়ী বন্ধক্ষণ পরে হতাশ ভাবে কছিলেন,— “তোমার অনুমান যথার্থ। এখন তোমার অভিপ্রায় কি ? কিরূপে তুমি এই গুপ্ত বিষয়ের অনুসন্ধান পাইলে ? এ কথা জীবিত লোকের মধ্যে আর এক জন মাত্র জানে।” মন্দাকিনী কহিল “সেই একজন, বোধ হয় তোমার ধাই।” আনন্দদময়ী উত্তর করিলেন,— “হঁ। সেই বোধ হয় এ কথা তোমার শ্রীপঞ্চমী । 8 গেল । 8 নিকট প্রকাশ করেছে। এ বিশ্বাসঘাতকতা তারই কাজ !" অপরিচিত কহিল,— “না । প্রথমে সমুদায় শেষ হইল। ধাই আমার সন্তানকে তোমার সুতিকায় এবং তোমার সন্তানকে আমার সুতিকায় রাখিয়া আমার সন্তান সৌভাগ্যের কোলে নাচিতে লাগিল, কিন্তু তোমার সন্তান দারিদ্র্য দুঃখে পড়িয়া—” আনন্দময়ী দীর্ঘ নিশ্বাস সহকারে সজল নয়নে ও কাতর বচনে কছিলেন— “মন্দাকিনি ! আমি ইহার বিন্দু বিসগও জানি না । আমি শপথ করে বলতে পারি, ইহা আমার জ্ঞানক্লভ পাপ নয় । উঃ ! কি দুৰ্দৈব !” মন্দাকিনী কহিল “তার পর আর সে ধাইয়ের সঙ্গে কখনও দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই । কিন্তু আমার স্বামী—যিনি এই সকল অনর্থের মুল—” আনন্দময়ী অমনি কছিলেন—“আমার স্বামীও এই সকল অনর্থের মূল ।” মন্দাকিনী পুনরায় কছিভে আরম্ভ করিলেন—“আমার স্বামী ইহাতে অনেক টাকা পয়েছিলেন, কিন্তু তার সহিত থাই এই বন্দোবস্ত করে যে তিনি এই গুপ্ত বিষয়ের মুল অনুসন্ধান না করেন । র্তার ধৰ্ম্মজ্ঞান ছিল না, তিনি ভাবিলেন যে গোপনে ধাইয়ের পশ্চাৎ গিয়া আর কিছু টাকা বন্দোবস্ত جہا-\