পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९( o আদায় করা মন্দ পরামর্শ নয় । তিনি তাহাই করিলেন, এবং তোমার স্বtমীর নিকট আসিয়া আরও কতক গুলি টাকা লইয়া গেলেন।” আনন্দময়ী কিয়ৎকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া কহিলেন—“এখন তোমার আসার আবশ্যক ! আবার কিছু টাকা আদায় করাই তোমার মনস্থ ; তোমার স্বামী বুঝি এবার তোমাকে সেই জন্য পঠিয়াছেন।” মন্দাকিনী গৰ্ব্বিত ভাবে কহিলেন, “ন। দেবি ! আমার আসিবার লে কারণ নয়। আমার স্বামী নাই— আমি বিধবা। তুমি অন্য মনস্ক বলেই আমাকে বিধবা বলে জামৃতে পার নাই। আমার স্বামী জীবিত থাকুলেও আমি টাকার জন্য তোমার নিকট কখনই আসিতাম না। এখানে আমাকে কে আনিল ? সন্তানবাৎসল্য আমাকে এত দূর আনিয়াছে—মাতৃস্নেহে আমি এখানে এসেছি । আমি আমার পুত্ৰ—আমার প্রাণসম প্রিয় পুত্র দেখবার জন্য এখানে এসেছি। এ খানে এসে পুত্র মুখ দেখতে পাব বলে এই দুৰ্গম পথকেও সুখের সিঁড়ি মনে করেছি । আমি একবার আমার সেই পুত্রের মুখচন্দ্র দেখবো। আমার সেই এক মাত্র সন্তান--আমি তাকে গর্ভে ধারণ করেছি মাত্র। আমি তার চাদ মুখ খামিও ভাল করে দেখতে স্ত্রীপঞ্চমী । مہیا staf** tag, ys) পাই নাই। আমার বড় সুখের সময়ে তাকে আমার ক্রোড় হতে কেড়ে এনেছে । একবার আমি মরিবার আগে সেই প্রিয় পুত্রের মুখ দেখবো । আনন্দময়ী ! আমার বুক ফেটে যায়— আর আমি ধৈর্য্য ধরে থকৃতে পারি না। একবার অনুমতি কর আমি তার চাঁদ মুখ দেখি । আমি এই জন্যই এখানে এসেছি, মনোরথ সিদ্ধ না হলে এখান হতে যেতে পরি না । যদি তোমার রক্ত মাংসের শরীর ছয়, তবে একবার ভাবিয়া দেখ আমার এক মাত্র পুত্ৰ—যার মধু মাথা ‘ম। মা' শব্দ শুনে কাণ পবিত্র, মন পবিত্র, দেহ পবিত্র করতে পারি নাই—তাকে একবার দেখবার জন্য মন অস্থির হয় কি না ? আমি তোমার পায় ধরি—বিনয় করি— একবার আমি শশিশেখরের চাদ মুখ দেখবো ।” এই বলিয়া মন্দাকিনী আনন্দময়ীর চরণ সমীপে জানু পাতিয়া বসিলেন । মন্দাকিনীর দুই চক্ষে শত ধারা বৰিতে লাগিল। আনন্দময়ীও বদনে বসনাঞ্চল প্রদান পূর্বক ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। তিনি র্কাদিতে কঁাদিতে কছিলেন‘মন্দাকিনি ! আমার কাছে দয়া প্রার্থনা করায় তোমার যে অধিকার আছে, তোমার কাছেও আমার সেই অধিকার! তুমি যে কথা