পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানকুর বৈঃ, ১২৮৩) --محمستعمت ہے.. গুলি বলিলে, আমিও কি সেই কথা গুলি বলিতে পারি না ! সন্তানের মধুমাখা মা মা শব্দে আমার কর্ণ কুছর পবিত্র হয় নাই। আমার কি সেই মধুমাখা মাতৃসম্বোধন শুনতে ইচ্ছা হয় না ? মন্দাকিনি ! তোমা অপেক্ষও আমার কষ্ট অধিক । তোমার পুত্রের জন্য তুমি এক প্রকার নিশ্চিন্ত ছিলে, কেননা সে ধনবানের আশ্রয়ে এসেছে । তোমার কাছে থাকুলে দুঃখে তার দিনপাত হতো ; তোমার চিন্তা ছিল না— মুখের কোলে পুত্রকে নিক্ষেপ করে এক প্রকার নিশ্চিন্তু ছিলে । কিন্তু মন্দাকিনি! একবার আমার মনের কষ্টের বিষয় ভাবিয়া দেখ দেখি । আমি দুঃখের সাগরে এক মাত্র প্রিয়তম। কন্যা সন্তানকে ভাসিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত রয়েছি। আমি পষণী, আমি রাক্ষসী, আমি পিশাচী, আমার এ রক্ত মাংসের শরীর নয়। তাহলে এতদিন জীবিত থাকতে হতো না। মন্দাকিনি ! তুমি যেমন কাদিতে কঁদিতে বলিলে আমার মরিবার পূর্বে এক বার পুত্রের চাঁদ মুখ দেখবো—আমারও সেই কথা বলিবার অধিকার । মন্দাকিনি ! তোমার হাতে ধরে বিনয় করে বলি—একবার আমার প্রিয়তম কন্যাকে দেখাও। বল— আমার কন্যা কোথায় ? তুমি যে স্ত্রীপঞ্চমী । २6ंx কথা কহিতেছ না ! তবে কি আমার কন্যা নাই ! একবার অনুগ্রহ করে বল—আমার কন্যা অদ্যপি জীবিত আছে কি না ।” মন্দাকিনী কছিল—“সে জন্য তোমার কোন চিত্ত নাই । তোমার কন্যা জীবিত আছে । কিন্তু এখন আর তোমার কন্যা আমার কাছে নাই, কিছু দিন পরেই সে অ | ন্যের হস্তগভ হয়েছে। তথায় সে মুখসচ্ছন্দে আছে।" অনিন্দময়ী কছিলেন, “কি তোমার কাছে মাই ! তবে এখন আমার কন্যা কোথায় ? মন্দাকিনি ৷ আমাকে বিশেষ করে বল।" মন্দাকিনী কহিল—“শুন, আমি সকল কথা বিশেষ করিয়া বলিতেছি । তোমার কন্যার যখন দুই বৎসরমাত্র বয়স, তখন আমার স্বামী সংবাদ পেলেন, যে এক জন বড় লোকের স্ত্রীর এক মাত্র কন্যা সস্তান মারা পড়েছে, তিনি একটা ঐ বয়সের কন্যা পাইলে প্রতিপালন করেন। আমি পূর্বেই বলেছি যে আমার স্বামীর ধৰ্ম্মজ্ঞান ভাল ছিল না—তিনি এই একটা সুযোগে আবার কিছু অর্থ সঞ্চয়ের উপায় করিলেন। অনেক টাকা মূল্য পয়ে তোমার কন্যাকে র্তাদের নিকট বিক্রয় করিলেন । তো মার কন্যার প্রতি আমার বিশেষ