পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3億3 স্বেহ জন্মে নাই—তাকে দেখলেই আমার পুত্ৰশোক উথলে উঠ তো— তথাপি ভাহাকে কাছে রাখতে বড় ভাল বাসতাম। তোমার কন্যাকে আমরা সেখানে লয়ে গেলাম। র্তাহার কন্যার রূপ দেখে মোহিত হলেন । অনেক টাকা বন্দোবস্ত হ’ল—কিন্তু এইট প্রতিজ্ঞা করতে হলো যে ইহজন্মে আর আমরা সে কন্যাকে দেখিভে পাইব না । আমি কঁাদিতে লাগিলাম দেখিয়া কত্রীঠাকুরাণী দুঃখ করে বল্যেন—“ছায় ! দরিদ্র হওয়া অপেক্ষা ংসারে আর কি দুঃখ আছে ? ধনের লোভে—উদরের জ্বালায় প্রাণসম কহ্যাকেও ত্যাগ কত্যে হলো । পরে আমণকে বল্যেন কন্যা তোমাকে মা বলে জান্‌বে না, কিন্তু তুমি যে কন্যার এক জন আত্মীয়া, তাহা যাতে জানৃতে পারে, আমরা এমন শিক্ষা সৰ্ব্বদাই দিব । বাছা ! তোমার মুর্তি কন্যার হৃদয়ে অঙ্কিত করে দিবার উপায় নাই, থাকুলে তাছাও করে দিতাম।' আমি অমনি কছিলাম ‘অtমার এক খানি অঙ্কিত মূৰ্ত্তি আছে, যদি সেই খানিতে কোন কাজ হয়, তবে দিতে পারি।" এই কথা বলিয়া আমি আমার অঙ্কিত মূৰ্ত্তি তাছার হস্তে দিলাম। তিনি কছিলেন, ‘উত্তম হইয়াছে, বাছা তোমার উপর কন্যার স্নেহ ভক্তি অচলা থাকিবে ।’ আমরা গ্রীপঞ্চমী । (জ্ঞানকুর বৈঃ, ১২৮৩ চলিয়া আসিলাম । আমার স্বামী কিছু দিন মুক্ত হস্তে ঐ টাকা ব্যয় করিতে লাগিলেন । আয় না থাকিলে সঞ্চিত ধন কত দিন থাকে! সব ফুরাইয়। গেল। আবার তিনি একবার টাকা আদায় করিবার দুষ্ট অভিপ্রায়ে সেই বড় লোকদের অনুসন্ধানে গেলেন, কিন্তু তাদের দেখা পেলেন না । তাছার সে বাড়ী ত্যাগ করে কোথায় গিয়াছেন, গ্রামস্থ কেহই সে সংবাদ বলিতে পারিল না ।” আনন্দময়ী দেবী উচ্চ ক্রন্দনের সহিত কহিলেন,— “মন্দাকিনি ! আর বলিতে হইবে না । আমি বুঝেছি—আর তাকে পাইবার কোন অtশা নাই । তার জন্য অপমার চির দিন কঁদিতে হইবে । আমার কন্যা নাই।” এই কথা বলিয়া আনন্দময়ী নিস্তব্ধ ভাবে কাদিতে লাগিলেন, তাহার ওষ্ঠ কঁাপিতে লাগিল । মন্দাকিনী বিনয় নত্ৰ বচনে কহি লেন,— “দেবি ! তোমার মনোবেদনায় বুঝিতে পারিতেছ, আমার হৃদয় কেমন আগুনে পুড়িতেছে। একবার আমাকে শশিশেখরের চাদ মুখ দেখণও ।” আনন্দময়ী তীব্র বেগে দাড়াইয়া কহিলেন,—