छांनाङ्कज्ञ पैद६, २२४७) “মন্দাকিনি । পরের পাপের জন্য আমাকে নষ্ট করিও না। যদি তোমার শরীরে কিছুমাত্র দয়া থাকে, তবে আর আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে দশজনের কাছে অপমানিত করো না । যেন এ কথার বিন্দু মাত্রও প্রকাশ না হয়।” মন্দাকিনি ধৰ্ম্মসাক্ষী করিয়া কহি লেন,—
- আমার এ কথা প্রকাশ করিবার কোন প্রয়োজন নাই । শশিশেখর যে মা বলিয়া আমার নিকট আসিবে, আমি সে প্রার্থনাও করি না । কেবল মাত্র আমি একবার
ভূরত্তান্ত &位○ দেখিব । সে চাদ মুখ দেখে মরিতে পেলেও সার্থক জন্ম মনে করিব । মনের আকর্ষণ, মনের বেগ—সকলই আপনার চক্ষের জলে বিসৰ্জ্জুন দিলাম। একবার দেখা মাত্র আমার প্রার্থনা। সেই প্রার্থন পূর্ণ হলেই পরিশ্রম সফল ৷” এই কথায় আনন্দরী দেবীর মনে কিঞ্চিৎ শান্তি হইল। তিনি মন্দাকিনীকে কছিলেন—“তবে আমার সঙ্গে এস, আমি তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে দি । ” উভয়ে কক্ষ হইতে নিকান্ত হইলেন । আর্য্য জাতির ভুরত্তান্ত । (পূৰ্ব্বপ্রকাশিতের পর) এ যাবৎ যে কিছু বলা হইল, তদ্বারা আর্য্যদিগের পৃথিবীর গোলত্ব, শূন্যোপরিনিহিতত্ব, কদম্ব কেশরের ন্যায় সৰ্ব্বদিগে বসতিসত্বা, স্তরবিশিষ্টা, অন্তর্গর্ভে- অগ্নিপ্লাবনাদি চিহ্লে চিহ্লিতা, ধাতুগর্ভতা, রত্নগৰ্ভত, এসকল জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া গেল। পৃথিবীর আকার, সংস্থান, ভূ-কম্পাদির কারণ ও সামুদ্রিক বিবরণ যে র্তাহারা জ্ঞাত ছিলেন, তাছাও প্রকাশ পাওয়া গেল। সম্প্রতি পৃথিবী নিষ্ঠ শক্তির বিষয় কত দুর অবগত ছিলেন তাছার অনুসন্ধান করা যাউক । শুনা যায় পৃথিবীর নাকি আকর্ষণ শক্তি আছে। তদ্বলে উচ্চস্থান হইতে ফল পত্রাদির পতন, মেঘ হইতে বারিবর্ষণ ও এবমাদি বহুতর কার্য্য সংঘটন হুইয়া থাকে । এই মতটির সত্যাসত্য নির্বাচন করিবীর ক্ষমতা অম্মদাদির নাই । পরন্তু বৃদ্ধ ঋষিদিগের হৃদয় অণুসন্ধান করিলে লক্ষ্য হয় যে, এই মতের একটি অনুপরিমাণ বীজ তাছাদের নিৰ্ম্মিতু বিপুল বৈদিক গ্রন্থের অভ্যন্তরে লুক্কায়িত আছে । যথা ;–
