পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ,১২৮৩) অবশ্যই ভূত সকলের সংঘাতিত্ব, অপানের অধঃকর্ষণ ও উদানের উৎপ্রেরণা বশতঃ সবিকাশ অর্থাৎ প্রতিবন্ধক রহিত প্রদেশে পতিত श्ऊ ॥ এখন বিবেচনা কৰুন । —কথিত বৈদিক গণপটির মৰ্ম্মাংশে যে আকর্ষণ শক্তির কথা আছে, তাহার প্রচণর ভূমি কোথায় ?—কেবল দেহস্থ অপান বৃত্তি বা দেহের আকর্ষণে ? কি সৰ্ব্বত্র ? ঐ বাকভঙ্গির উদ্দেশ্য পৃথিবীর আরষ্ট শক্তি প্রকাশপর কি না ?— ফলভঃ শাস্তুহৃদয়ে নিপুণ হইয়া লক্ষ্য করিলে প্রভাত হুইবে যে পৃথিবীর আকর্ষণশক্তির অস্তিত্ব বিদিত করাই ঐ প্রলtপ সাগর । 之位应 অংশের প্রধান উদ্দেশ্য । তাছার সত্বা যেমন দেক্ষ বিষয়ে, তেমনি দেহ ভিন্ন অন্য পদার্থ বিষয়েও বটে। আর ঐ বাক্যের একদেশে যে পুৰুষ শব্দ আছে, তাহ উপলক্ষ মাত্র, বস্তুত অগ্নিবায়ু জল প্রভূতি ভূত পদার্থ মাত্রেরই আকৃষ্ট শক্তি আছে । বিশেষ এই যে অগ্নি আদি ভূত স্বজাতীয় পদাৰ্থ ব্যতীত বিজাতীয় পদার্থকে আকর্ষণ করে না, পৃথিবীভূত তাছাও করে । 翻 পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তি বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণও আছে, তাহা পরে লেখা যাইবে । (ক্রমশঃ) প্রলাপ সাগর । তৃতীয় উচ্ছ্বাস। বৈয়াকরণ তরঙ্গ । ব্যাকরণ ভিন্ন সাহিত্যের সম্যক উন্নতি হয় না। বঙ্গভাষায় ব্যকরণের অভাব নাই, কিন্তু ষে রূপ ব্যাকরণ হইলে ভাষা সহজ হইয়া আইসে, তাছার সম্পূর্ণ অভাব রহিয়াছে। সে অভাব দূর করিতে অদ্যাপি কেহই হস্তক্ষেপ করেন নাই। যত দিন সে রূপ এক খানি ব্যাকরণের অসঙ্গতি থাকিবে, তত দিন বঙ্গ ভাষার উন্নতি ছওয়ার পক্ষে নিতান্ত সন্দেছ । এখন যিনি যত ব্যাকরণ লিখিতেছেন, তন্মধ্যে কেহই নুতন হাত দেথাইতে পারিতেছেন না । সুতরাং তাহাদের দূরদর্শন নাই, ইছা অবশ্যই স্বীকার করিতে হুইবে । বর্তমান গ্রন্থকারবর্গের মধ্যে প্রায় কেহই কোন নুতন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে অগ্রসর হন নাই। প্রায়ই পূৰ্ব্ব প্রচারিত লব্ধ প্রতিষ্ঠ কোন গ্রন্থের একটু আধটু পরিবর্তন করিয়াই বগল বাজাইতে