পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ লকে বা বুদ্ধিবৃত্তি সকলকে কিরূপে নিরোধ করা যাইতে পারে ? ন| “অভ্যাস বৈরগ্যাভ্যাং তন্নিরোধঃ”। অভ্যাস এবং বৈরাগ্য এই দুয়ের স্বারা মনোবৃত্তি সকলের নিরোধ হইতে পারে । অভ্যাস কি ? “ তত্ৰ স্থিতে যত্নোইভ্যাসঃ ” । আত্মস্থ হইবার জন্য যে ষত্ব তাহাকেই অভ্যাস কক্ষে । যথা ;– “ তস্যাঞ্চ যত্ন উৎসাহ পুনঃ পুনঃ তথণত্বেন চেতসি বিনিবেশনং অভ্যাস ইতু্যচ্যতে ”। সেই আত্মনিষ্ঠভাতে যে যত্ন কিংবা উৎসাহ, অর্থাৎ পুনঃ পুনঃ আত্মার স্বরূপে চিত্তের যে অভিনিবেশ, তাছাকেই অভ্যাস কছে। বৈরাগ্য কাহাকে বলে ? না ;– g “ দৃষ্টামুশবিক বিষয়-বিকৃষ্ণস্য বশী কীর সংজ্ঞা বৈরাগ্য ৷ ” প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয়বিধ বিষয়েতেই র্যাহার বিতৃষ্ণ জন্মিয়াছে, র্তাহার বশীকরণ ভাব । “মমৈতে বশ নাহি মেতেষাং বশ ইতি যেtহয়ং বিমশঃ ” । বিষয় সকল আমার বশ, অমি ইহাদের বশ । নছি," এই যে একটা মনের ভাব ইহাকেই বৈরাগ্য কহে। বৈরাগ্য সৰ্ব্বাপেক্ষা উচ্চতর। “তৎপরং পুৰুষখাতেগুৰ্ণ বৈর্তৃকং” বিষয়-বিতৃষ্ণ মুলক বৈরাগ্য অপেক্ষা গুণ-বিতৃষ্ণা মুলক বৈরাগ্য পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র । (জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২৮২ শ্রেষ্ঠতর। এস্থলে গুণ শব্দের অর্থের প্রতি বিশেষ প্রণিধান করিয়া দেখা আবশ্যক, কেননা গুণ শব্দের অর্থ স্পষ্টরুপে হৃদয়ঙ্গম না হইলে সাংখ্য এবং পাতঞ্জল দর্শনের প্রকৃত মৰ্ম্ম অবগত হওয়া কোন প্রকারেই সাধ্যহইতে পারে না। অভএৰ সাংখ্য পাভঞ্জল দর্শনে গুণ শব্দ ষে কি অর্থে ব্যবহৃত হুইয়াছে, এক্ষণে তদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ বলা নিতান্তু আবশ্যক। যাহা কলেজে পরিবর্তিত না হইয়া সৰ্ব্বকালে এক এবং অভিন্নরূপে প্রকাশ পায়, তাহাই বস্তু বলিয়া উক্ত হয়, যাহা কালের বশবৰ্ত্তী হইয়া, ‘ছইতেছে যাইতেছে রূপে ' প্রকাশ পায়, তাহাই গুণ বলিয়া উক্ত হয়। প্রকৃতি কালের বশবর্তী বলিয়া তাছা গুণ-সৰ্ব্বস্ব রূপে সাংখ্য এবং পাতঞ্জলে স্থিরীকৃত হুইয়াছে। প্রাক্কতিক বিষয় সকল বর্তমান কালে প্রকাশ পায়, ভূতকালে অবসান হয় এবং বাধা অতিক্রম করিয়া ভবিষ্যতে ༽ཀླག ret পাইবার জন্য বিচেষ্টিভ হয় । এইরূপ আত্মা ভিন্ন, আর তাবৎ বস্তই কালে প্রকাশ পায়, কালে বিচেটিভ হয় এবং কালে ৰিলীন হয় বলিয়া সাংখ্য এবং পাতঞ্জলে আত্মা ভিন্ন আর সমস্ত বস্তুই গুণাত্মক বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হুইয়াছে । কথিত বস্তু সকল বর্তমান কালে প্রকাশ পায় , উছা