পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর বৈঃ, ১২৮৭) অর্থাৎ রকারের পর যে ন বসিবে, তা | হার মাত্রা দিবে না, নেড়া করিয়া । রাখিবে । দুইটী বয়ের আকারগত ও উচ্চারণ গত কিছুই বৈলক্ষণ্য নাই ; সুতরাং উছাদের একটীর প্রয়োজন নাই । একট মাত্র থাকিলেই প্রয়োজন সাধিত হইতে পারে । জ এবং য এই বর্ণদ্বয়ের কোন বিশেষ প্রভেদ দেখিতে পাই না । যে একটু প্রভেদ আছে তাছা কোন কার্য্যের নহে ; তবে যখন য কোন শব্দের মধ্যে বা শেষে পড়িয়া যায়,তখন তাহার নীচে একটা শূন্যের আগম হইয়া স্ব তন্ত্র ভাবে উচ্চারিত হয় । সে জন্য য । ন! রাখিয়া য় রাখা গেল । তিনটী সয়ের প্রয়োজনাভাব, সুতরাং বর্ণমালা হইতে উঠাইয়া দিলে কোন ক্ষতি নাই । এক্ষণে স্বরবর্ণের বিষয়ে কিছু বলা আবশ্যক। সমুদায়ে এই কয়ট স্বরবর্ণ আছে, যথা –অ ই উ ঋ এ ঐ ও છે ভেদ করিবার কোন প্রয়োজন নাই । ‘অ’র নিকট আর একটা ‘অ’ আনিয়া দেও, অমনি ‘আ’ হইয়া যাইবে । ‘ই’র নিকট আর একটা ‘ই’ আসিয়া বসিবামাত্র ‘ঈ হুইবে । দীর্ঘ আর কিছুই নছে, ডবল মাত্র, সুতরাং পুনৰুক্তি দোষ প্রল প সঙ্গীর । . অ, ই, উ, ঋ ইছাদিগের হ্রস্ব দীর্ঘ ×0 ዓ পরিহার সর্বথা শ্রেয়। বর্ণজ্ঞান বিষয়ে আর অধিক লিখিবার প্রয়োজন নাই। এখন যে সকল ব্যাকরণ প্রচলিত, তদনুসারে কার্য্য করিতে হইলে অনেক শিক্ষা করিতে হয়, কিন্তু তত শিখিবার কোন প্রয়োজন দেখি না । এখন যে নুতন নুতন গ্রন্থকার হইতেছেন, প্ল্যাকরণের নিয়মগুলির উপর তাহদিগের যার পর নাই আক্রোশ । সে গুলিকে পদদলিত করাই তাহাদিগের উদেশ্য । এমন স্থলে অধিক আড়ম্বর করা কোন ক্রমেই যুক্তিসিদ্ধ নহে । সংক্ষেপে দুই চারি কথা কহিয়াই প্রস্তাবের উপসংহার করিব । | ব্যাকরণের মধ্যে সন্ধি একটা বড় মজার জিনিস। দুইটা বর্ণ কাছাকাছি হইলেই মিলিয়া যাইবে, ইছাই সন্ধির মুল পত্তন। উছার মিলিয়া একটা নুতন আকার ধারণ করে, তাছা জ্ঞাত হওয়া নিতান্ত প্রয়োজন । জাতীয় সম্মিলনে ডবলীভূত হয়, সুতরাং তাছার বলও অধিক। বিজাতীয় সম্মিলনে দে আঁাসলা হয়, ইহা সকলেই স্বীকার করিবেন, সুতরাং তাহার আকারগত বৈলক্ষণ্য হওয়া কোন মতে অসম্ভব নহে । আ, ই, উ, ইহাদের জাতীয় মিলনে দীর্ঘতা প্রাপ্তি ছয়, यथl; थ+अ-अl; ३+३ = ने, उं+खे =উ ইত্যাদি ৷ সজাতি সম্মিলনে যে বর্ণের জন্ম হইল, তাছাও সেই জাতি \\చి |