পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հձե মধ্যে পরিগণিত, এই জন্য ঐ উৎপন্ন বর্ণের সহিত মুল বর্ণের মিলনেও দীর্ঘতা প্রাপ্তি হয় । বিজাতীয় মিলনে যে অপরূপ পদার্থ উৎপন্ন হুইয়। থাকে, তাছা মুল জাতি হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। যথা ; অ+ই=এ ইত্যাদি । ‘ই’র সহিত অন্য স্বরবর্ণ মিলিতে অtসিলে এককালে তাহার ব্যঞ্জনত্ব প্রাপ্তি হয় । ‘উ'র সহিতও তদনুরূপ । ইতে ‘ম’,'উ'তে ‘ব’ ইত্যাদি ৷ স্বর সন্ধির মোটামোট নিয়ম এই পর্যন্ত । ব্যঞ্জন সন্ধি সম্বন্ধে লিখিবার পূৰ্ব্বে শিক্ষার্থী দিগকে একটা বিষয় বলিয়া দেওয়া মিতান্তু প্রয়োজন । ব্যঞ্জন সন্ধিতে অনুস্বার ও বিসর্গের প্রকৃতি অগ্ৰে জ্ঞাত ন হইলে কোন কাৰ্য্যই হইবে না । অনেকে অনুস্বার ও বিসর্গকে স্বতন্ত্র বর্ণ বলেন, কিন্তু আমরা অত মূখনই যে বৃথা গণ্ডগোল বাড়াইব । ‘মায়ের ছাপ অল্পস্বার এবং সয়ের হাপ বিসর্গ । মকরকে সন্ধি দ্বারা যত বাদ দিবার চেষ্টা কর না কেন, কখনই অনুস্বার অপেক্ষা নু্যন করিতে পরিবে না; সকেও বিসর্গ অপেক্ষ কমাইতে পরিবে না । ইহা ব্যঞ্জন সন্ধির মূল নিয়ম জানিবে । সন্ধির সহিত শ্রবণ সুখকারিতার অনেক সম্বন্ধ আছে, অর্থাৎ সন্ধি করিলে যদি সন্ধি শ্রুতি কটু হয় বিবেচনা কর, তবে তাহাড়ে ছাত দিয়া প্রলীপ সাগর । (জ্ঞানাঙ্কর বৈঃ, ১২৮৩ অযশভাগী হইবার কোন আবশ্যক নাই । ব্যঞ্জন সন্ধিতে অনেক সময়ে এই দোষ ঘটে, এই জন্য সকল সময়ে সন্ধি না করিলেই ভাল ছয় । অতএব ব্যঞ্জন সন্ধির উৎকট নিয়ম সকল এ স্থলে প্রকাশ করা নিতান্ত আবশ্যক বিবেচনা করিলাম না । বর্ণমালায় যে কারাগরী করা হই য়াছে, তাছাতে আর ণত্ব ও ষত্ব বিধির কোনই প্রয়োজন নাই । দ্রব্য মাত্র বিশেষ্য, আবার যদ্বারা তাছাকে বিশেষ করা যায় তাহার নাম বিশেষণ । পাঠকবর্গ যেখানে কোন নিয়ম না পাইবেন, সেখানে সকলই নিপাতনে সিদ্ধ করিতে পারিবেন। নিপাভনটী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । সময়ে সময়ে ইহার দ্বারা অনেক মান বাচিয়া থাকে । সমাস সন্ধির বৈমাত্রেয় ভ্রাতা । তাহারা ছয় ভাই । লিঙ্গ বিষয়ে বঙ্গ ভাষায় অভ্যস্ত গোলযোগ অাছে, সে জন্য তৎসম্বন্ধীয় দুই একটী কথা এই 'আদর্শ মধ্যে প্রকাশ করা উচিত । জীব সমষ্টি মধ্যে পুংজাতি মাত্রই পুংলিঙ্গ, স্ত্রী জাতি মাত্রই স্ত্রীলিঙ্গ । যাহাদিগের জীবন নাই, তাছারা ক্লীব লিঙ্গ। লিঙ্গ বিষয়ক এই নিয়মটা মূল নিয়ম মাত্র, কিন্তু নিজীব জড় পদার্থ মধ্যেও শাস্ত্রকারের লিঙ্গভেদ করি