পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} f t ; # SAAAAAAAS জ্ঞানাঙ্কর বৈঃ,১২৮৩) য়াছেন। তাহা এত দূর কঠিন যে পত্তিভেরাও সময়ে সময়ে আয়ত্ব করিতে পারেন না । সেই অনুসারে বঙ্গীয় বৈয়াকরণের পদার্থ মাত্রের লিঙ্গত্ব বিষয়ে ভারি গোলযোগ করিয়াছেন । । | | লিঙ্গ ভেদ বিষয়ে গুটিকতক মোট কথা জানিয়া রাখিলেই কাৰ্য্য চলিতে હરે – আকারান্ত হইলেই স্ত্রীলিঙ্গ হইবে, তন্মধ্যে বাবা, দাদা, খুড়া, জ্যাঠা, মামা, কণকা, প্রভূতি কতকগুলি বর্জিত বিধির মধ্যে জানিবে। ঈকারান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু বটীকে স্ত্রীলিঙ্গ বলিতে পারি না, কারণ বটীতে দ্রব্যাদি কাটিয়া থাকে ; কাট মারা প্রভৃতি গোয়ারতুমির কাজ স্ত্রীলোকে সম্ভবে না। এই জন্য উহাকে পুংলিঙ্গ বলিতে হুইবে । কোন শব্দ বাস্তবিক পুংলিঙ্গ কিন্তু তাহার অর্থ লইয়া বিচার করিলে তাছা স্ত্রীলিঙ্গ হইয়া যায়। বৃক্ষ শব্দ পুংলিঙ্গ, কিন্তু অনুধাবন করিয়া দেখিলে বিলক্ষণ প্রতীতি জম্মিবে যে উছ স্ত্রী লিঙ্গ। কারণ বৃক্ষে ফল পুষ্প প্রসব করে ; প্রসব শক্তি স্ত্রী লোক ভিন্ন পুৰুষের নাই,এই জন্যই উছাকে স্ত্রীলিঙ্গ বলিতে হুইবে । ইহার মধ্যেও বর্জিত আছে—বথা ; মান্ধাতা। এই রূপ অর্থ প্রলপ সাগর । | | i পারে। সে কথা જાના | | ९¢:b ভেদ করিয়া লিঙ্গ ভেদ করিলে কোন প্রকার গোলযোগের সম্ভাবনা নাই । ব্যাকরণের যাবতীয় নিয়ম বিবেচনা সাপেক্ষ, শাস্ত্র সাক্ষেপ নহে । এরূপ সংযুক্তি অনুসরণ করিয়া যিনি ব্যাকরণ লিখিবেন, তিনিই কৃতকাৰ্য্য হইতে পরিবেন । যুক্তি হইতেই শাস্ত্রের উৎপত্তি, কিন্তু ক্রমে ক্রমে যুক্তি ও শাস্ত্র উভয়ে এত স্বতন্ত্র হইয়াছে, যে প্রথম হইতে দ্বিতীয়ের উৎপত্তি ইছা আদোঁ বুঝিতে পারা মুকঠিন । যে যুক্তি যাবতীয় শাস্ত্রের মূল, এবং যে শাস্ত্র অনুসারে সমুদায় বিষয় সম্পন্ন হইতেছে, তাছার মুল হইতে যে ব্যাকরণ হইবে, তাছার সর্বাঙ্গসুন্দরতা পক্ষে সন্দেহ মাত্রই নাই । এই জন্যই আমার মত যে, যুক্তি অবলম্বন করিয়া ব্যাকরণ প্রস্তুত করিলে তাহা নিঃসন্দেহ সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হুইবে । সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ব্যক্তি ভিন্ন বঙ্গভাষায় অপর কেছ ব্যাকরণ লিখিতে সমর্থ হইবে না, ইহা যেন কাহারও মনে উদয় না হয় । ব্যাকরণ লেখা নিতান্ত সহজ, তাছা ন হইলে আমি কখনই ব্যাকরণ ঘটিত এ সকল কথা বলিয়া দিতে পারিতাম না । অদ্য এই স্থানেই বেদব্যাসের বিশ্রাম ।