পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর বৈঃ, ১২৮৩) সহস্ৰ দুষ্কৰ্ম্ম করিয়াও অক্ষুণ্ণ ছিলেন। অনেক সময়ে অনেক দোষী নির্দোষী হইতেছে এবং নির্দোষী দোষী হইতেছে । ইহার কারণ নির্দেশ করিতে না পারিয়া, কেহ পূৰ্ব্ব জন্মের ফল, কেহ বিধিরুত ললাটলিপি ও কেছ অদৃষ্টকে কারণ বলিয়া থাকেন। অনেকে, যাহার কারণ দৃষ্ট নয়, অর্থাৎ কি কারণে হইল জানা যায় না, ভাহাকে অদৃষ্ট বলেন। আমরা তাছাকে পড়তা বলি; পড়ভার নামান্তর অদৃষ্ট। সকল কার্য্যেরই যে এক একটা পড়ত। আছে, তাহ বিশেষ রূপে জানা যায় । কিন্তু কি কারণে সেই পড়ত হয় তাহ অদ্যাপি স্থির হয় নাই । যাহারা অভিনিবেশ সহকারে তপস খেলিয়া ক্লাস্তু হন, তাছারা বুঝিয়াছেন যে, পড়তা কি । যে দিন যে দিকে তাসের পড়তা হয়, সহস্ৰ চেষ্টা করিলেও তাছা ভাঙ্গ বায় না । গড়তার দিকের খেল ওয়ার নিতান্ত অজ্ঞ হইলেও জয়ী হইবে, বিশেয় ক্রীড়ানিপুণ হইলেও পড়তা না হইলে হারিতে হুইবে । দেখা গিয়ছে এক দিকে তাসের পড়ত সময়ে সময়ে চারি, পাচ বা ততোধিক দিন থাকে । কখন কখন এক দিনেই পড়তা ২ । ৩ বার ভাঙ্গিয়া যায়। কেন কোন দিন কোন পক্ষেই পড়তা ছয় না। ইহার ফারণ কি ? এই পড়তা বিনা চেষ্টায় হয়, বিনা চেষ্টায় ভাঙ্গে । আবার vరి3 মানবতত্ত্ব । ২৬৫ চেষ্টা করিলেও হয় না, চেষ্টা করিলেও ভাঙ্গে না । ৩২ খানি কাগজে ক্রমণগত খেলা করিয়া যখন তাহার পড়তার মৰ্ম্ম কিছুই বুঝা গেল না, তখন এই প্রকাও বিশ্ব ব্যাপারের পড়তার কারণ কি রূপে বুঝা যাইবে ? ফলতঃ ভাসের ন্যায় আমাদের কাৰ্য্যেরও পড়তা আছে। সেই পড়তার নাম অদৃষ্ট । এই পড়তা যে সময় হয়, তাছাকে সু সময় বলে ও যে সময় তাহা হয় ম? তাহাকে কুসময় বলে ; তাহার কারণ স্বরূপে সুগ্রহ বা কুগ্রহের কার্ষ্য বলিয়া থাকে । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । পূর্ব ও পরকাল । মৃত্যুপৰ্যন্তই কি মানবের শেষ, না মৃত্যুর পরে মানব বর্তমান থাকে ? মরিলে কি হয় ? কেছ বলেন মৃত্যুর পর মানব ভূত হয় ; কেহ বলেন, কৰ্ম্ম ফলানুসারে স্বৰ্গ বা নরক ভোগ করে এবং কেছ বলেন,মানব অন্য দেহ অবলম্বন করে। বোধ হয় শেষোক্ত মতটী সত্য । কিন্তু র্তাহারা যে আত্মার সঞ্চালন বলিয়া থাকেন ভাস্কার কোন প্রমাণ নাই। পূর্বে সপ্রমাণ হইয়াছে, জড় পদার্থ হইতে মানবের উৎপত্তি এবং কোন পদার্থের ছানি নাই । কেবল পদার্থ সকল এক অবস্থা হইতে অবস্থান্তর প্রাপ্ত ছয় মাত্র । মানব জ