পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ ন্মিবার পূৰ্ব্বে পিতৃ মাতৃ দেছে শুক্র শোণিত রূপে ছিল, তৎপূর্বে র্তাহাদের আহারীয় নানা পদার্থে ছিল এবং তৎপূর্বে মৃত্তিকা, জলপ্রভৃতিতে ছিল। মানবদেহ ধ্বংস হইলে পুনরায় মৃত্তিকা জল প্রভূতিতে পরিণত হইবে ; যাহা ছিল, তাহাই হইবে । শাস্ত্রকারের ইহাকে পঞ্চে পঞ্চ মিশন কছেন । আমার দেহু হইতে যে মৃত্তিক জল বায়ু প্রভৃতি উৎপন্ন হইবে, তাছা হইতে পুনরায় যে আর একটী দেছ উৎপন্ন হুইবে, তাছাতে সন্দেহ নাই । তাহাকেই আমার পরকাল বলা যাইতে পারে। যে পদার্থ হইতে আমার দেহ গঠিত হইয়াছে, তাহ পূর্বে অবশ্যই কোন দেহরূপে বৰ্ত্তমান ছিল ; তাছাই অামার পুৰ্ব্বজন্ম। কিন্তু পূৰ্ব্বে কি ছিলাম এবং পরে কি হইব তাহার নিশ্চয়তা নাই। আমার এই দেহ হইতে উদ্ভিদ জন্মিতে পারে, কীট বা পতঙ্গ জন্মিতে পারে, পশু বা পক্ষী জন্মিতে পারে এবং মানৰও জন্মিতে পারে । যদি আমি পুনরায় মানব হই, তাহা হইলে যদিও তখন বুঝিতে পারিব না যে,পূর্বে আমি কি ছিলাম, কিন্তু সে যে এই আমি, তাছাতে সন্দেছ কি ? যদি আমি ভবিষ্যতের জন্য জগতের কোন উপকার করিয়া যাই এবং সে সময়ে তাছার ফল ভোগ করিতে পারি, তাছা ছইলে সে যে আমার কার্য্যের ফল মানবতত্ত্ব | (জ্ঞানীকুর বৈঃ, ১২৮৩ ভোগ করা হইল, তাহাতে সন্দেছ কি ? এই আমি যাহা হইতে উৎপন্ন, সেই আমিও যখন তাহা হইতে উৎপন্ন, এবং এই আমি যখন সুখকর বিষয় লাভে সুখী হুই ও সে আমিও যখন সেই রূপ হুইব, তখন এই অামাতে ও সে অামাতে প্রভেদ কি ? সে অামারই পরকাল মাত্র । পরকালে মণনব ভিন্ন অন্য জীব দেহ প্রাপ্ত হইলেও তাহাতে আমার আমিত্ব থাকিবে । তাহাও আমার পরকাল । যদি আমি কখনও পুনরায় মানব হই, তাহা যে কত কাল পরে হুইব, তাহার মিশচয়ত কি ? ইছার মধ্যে কতরূপ দেহ অবলম্বন করিতে হইবে, তাহারই বা স্থিরতা কি ? বোথ ছয় আমাদিগের শাস্ত্রকারের এই সকল বিবেচনা করিয়াই বলিয়াছেন অশীতি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করিয়া মানবদেহ প্রাপ্ত হওয়া যায় । বিশ্বের অনন্তু গতি । এই আমি মানব হইয়া ব্যাঘ্রকে হিংস্র বলিয়া ঘৃণিত করিতেছি, আবার এই আমি ব্যাঘ্র হইয়া মানবকে কণ্টক বিবেচনা করিতে পারি। এক্ষণে আমি ভাবিতেছি, কি রূপে ব্যাভ্রাদি হিংস্র জন্তু পৃথিবী হইতে দূরীভূত হুইবে ও মানব নিরাপদে বাস করিবে । অবস্থান্তরে হয় ত ভাবিব যে, কত দিনে মানব উচ্ছিন্ন হইবে যে, ব্যাক্সের আর শঙ্কার স্থান থাকিবে না ।