পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ, ১২৮৩) কৰি সেই স্থলেই অন্যান্য গুণের সৰিত সহানুভূতির আবির্ভাব করাইয়াছেন । এক জন কোন ভায়ানক যাতনায় অধীর হইয়া ছটফট করিতেছে, আর একজন অমানবদণে তাছার পাশ্বে দাড়াইয়া হাসিতেছে । কে তাছার প্রশংসা করিবে ? সহানুভূতি ব্যতীত সততা, সাধুতা ও মহতত অপূ| ণ থাকে । ফলতঃ সহানুভূতি মানবমনের নিরতিশয় রমনীয় মনোবৃত্তি । এই প্রবৃত্তি না থাকিলে মানব সমাজের প্রকৃতি অন্যরূপ ছইয়। যাইত। যে, জীবনে কখন সহানুভূতি পায় নাই তাছার বৃথায় জন্ম। সে সকল কাৰ্য্যেই নিৰুৎসাহী সকল বিষয়েই উদ্যম শূন্য। সংসার তাহার চক্ষে শূন্য। যাহাকে কেহ “আছা ? বলিতে নাই, যাহার বিপদে কেছ “ ছায় ছায় ? করিতে নাই, যাহার শোকে কেহ অশ্রু ফেলিতে নাই, তাছার জীবন ভারভুভ সে জগতে মাসিয়া মানবের প্রধান সৎপ্রবৃত্তি দেখিতে পাইল না । সে ভাবিয়া গেল মানব মাত্রেই নিষ্ঠুর ও নারকী । সাধারণতঃ এই বিশ্বাস যে অপরের বিষাদে আমাদের সহানুভূতি বেরূপ প্রবল ইছয় উঠে আনন্দে সেরূপ হয় না। এই সিদ্ধান্ডের পক্ষপাতী দার্শনিকগণ আপনাদের মত দৃঢ়ীকরণার্থ নিম্ন , সহানুভূতি । Š ዓd লিখিত রূপ হেতুবাদ সংস্থাপন করেন । র্তাহার বলেন, সুখী ব্যক্তি স্বতঃই সুধী। আমরা তাছার মুখে ৰোগ না দিলেও তাছার সুখের অন্যথা ছয় না । কিন্তু দুঃখী ব্যক্তির পক্ষে আমাদের সহানুভূতি ও সাহায্য নিতান্ত প্রয়োজনীয়। দুঃখী দেখিয়া তাহার দুরবস্থা, পরষ্টীয় কৰুণার উপর তাছার নির্ভরতা এবং আমাদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা, সমস্তই এক কালে উপলব্ধ হয় । এই জন্য বিবেচনা হয় যে বিপন্নের বিপদ মোচনার্থ চেষ্টা করিলে তাছার সহিত বাধ্য বাধকতা জন্মিবে । কিন্তু সুখী ব্যক্তির সম্বন্ধে এরূপ হয় না । অপরের মুখে সুখী হইলাম বলিয়া সে কখন আমার নিকট বধিত থাকিতে পারে না। বরং পরের সুখে আমি সুখ সম্ভোগ করিয়াছি বলিয়। অামাকেই কিয়ৎ পরিমাণে বধিত থাক যুক্তিযুক্ত। অতএব মুখের সহানুভূতি অপেক্ষ দুঃখের সহানুভূতি আমাদের সমধিক বাঞ্ছনীয়। উক্তরূপ যুক্তিতে কোন সার নাই । বাস্তবিকই যদি আনন্দ অপেক্ষা বিষাদ আমাদের সমধিক সহানুভূতি আকর্ষণ করে, তাহা হইলে সহানুভূতি প্রবৃত্তির একদিকে অধিক আকর্ষণ স্বীকার করিতে হয়। এবং স্বগীয় সহানুভূতিকে কিয়ং পরিমাণে নিকৃষ্ট করিতে ছয় । কিন্তু তাছা নছে।