পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯

२8 করিতে বাধ্য হই। সুখ দুঃখ প্রভৃতির উদ্ভাবকত্ব গুণ দ্বারা প্রকৃতির অস্তিত্ব যেমন সহজে স প্রমাণ স্বয় যুক্তি দ্বার তেমন হয় না। যুক্তি দ্বার। অগ্নির অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে পারা যায়, কিন্তু অগ্নির উত্তাপে দুঃখ বা সুখ উৎপন্ন হইলে সেই সুখ দুঃখের কারণু পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র । (জ্ঞানাকুর অঃ ১২৮২ স্বরূপ অগ্নির অস্তিত্বের প্রতি কোন রূপেই উপেক্ষা করিতে পারা যায় না । এই রূপ দেখা যাইতেছে যে, মুখ দুঃখ এবং মোহ রূপ গুণত্রয়ের আবির্ভাবই প্রকৃতির অস্তিত্বের সর্বাপেক্ষা বলবৎ প্রমাণ । ক্রমশঃ । অমৃতাঙ্কুর । উপন্যাস । (শ্ৰীযুক্ত রক্ত নারায়ণ ৰত্ন প্রণীত ।) প্রথম পরিচ্ছেদ । কোন ফরাসী গ্রন্থকৰ্ত্তীর রচিত উপন্যাসে উল্লেখ আছে, যে একটা ভূত সেই উপন্যাসের নায়ককে কোন নগরের গৃদ্ধ সকলের ছাদ উঠাইয়া তাহার নিম্নে কে কি করিতেছে, তাহা দেখাইয়ছিল । ত্রিংশৎ বৎসরের পূৰ্ব্বে কোন বিশেষ রজনীতে ঐ প্রকার কোন দৈত্য যদি পাঠককে কলিকাতা স্থ কোন বিশেষ গৃহের ছাদ উঠাইয়! দেখাইত, তাহা হইলে তিনি দেখিতে পাইভেন যে, সেই ছাদের নিম্নে এক পরম মুন্দর যুবক ও পরমাসুন্দরী যুবতী বিষগ্ন বদনে পর্য্যঙ্কোপরি উপবিষ্ট রহিয়াছেন। যেন কোন একটী ঘোরতর বিপদ ঘটিয়াছে। যুবকের বয়ঃক্রম দ্বাবিংশতি বৎসর, যুবতীর বয়স ষোড়শ বৎসর হুইবে । যুবক একজন ধনাঢ্য বক্তির সন্তান ছিলেন । অণমাদিগের দেশের অধিকাংশ ধনাঢ্য ব্যক্তির যুবক পুত্রদিগের মুখশ্ৰীতে, বিদেশীয় বলবান জাতীয় লোকের দৃষ্টিতে অনেক পরিমাণে স্ত্রীজনোচিত সৌন্দৰ্য অনুভূত হয়, সে প্রকার সৌন্দৰ্য ঐ যুবকের ছিল না। পুৰুষোচিত সৌন্দর্য্যই তাছার মুখে দেদীপ্যমান ছিল । উল্লিখিত অধি|ংশ যুবকের দেহু যেমন নবনীতੇ ন্যায় কোমল, তিনি সেরূপ কোমল ছিলেন না, তিনি দৃঢ়কায় ও বলিষ্ঠ ছিলেন । ব্যায়ামপরতাই সেই দৃঢ়কায়তার কারণ। যুবকের নাম নরেন্দ্র নার্থ মুখোপাধ্যায়। র্তাহার যেমন নাম র্তাহাকে সেইরূপ দেখাইভ । তাছাকে