পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ, ১২৮৩ હનિ দোষ জন্মে । তৎসমস্তের বিচার ও সমালোচন নিরতিশয় কুট ও নীরস । কেহ কেহ নির্দেশ করেন সহানুভূতির সহিত ভাল বাসার বিশেষ সম্বন্ধ আছে। একথা নিতান্ত যুক্তি বিহীন । দুঃখী দেখিলে দুঃখ হইবে, মুগী দেখিলে আনন্দ জন্মিবে ইছাই সহানুভূতির ধৰ্ম্ম । তাহার সহিত প্রণয় থাকুক বা নাই থাকুক, দয়ার পাত্র দয়া অাকর্ষণ করিবে । সত্তোষের পাত্ৰ সন্তোষ আকর্ষণ করিবে । সত্য বটে, দেখিতে পাওয়া যায় যে, শক্রর বিপদে মনুষ্য সময়ে সময়ে উল্লসিত হয় এবং তাছার সম্পদে অণন্তরিক ক্ষুন্ন হয় এবং প্রণয়াস্পদ সুহৃদের বিপদে ব্যথিত ও সম্পদে আনন্দিত হয় । ইহা দেখিয়া সহানুভূতিকে প্রণয় সম্বদ্ধ বলা কদাচ সঙ্গত নহে । কারণ শত্রু মিত্র সম্বন্ধে সহানুভূতির ইতর বিশেষ হওয়ার অন্য কারণ আছে । ঈর্ষা, জস্থয়া, গৰ্ব্ব, হিংসা, বিদ্বেষ প্রভৃতি তাহার কারণ। যে ব্যক্তির সহিত আমাদের প্রণয় বা অপ্রণয় কিছুই নাই তাছার ঘটনা দৃষ্টান্ত স্বরূপে গ্রহণ করিলে সমস্ত পরিস্ফুট হইবে। যদি অপরিচিত ও অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব ব্যক্তির বিপদে বা সম্পদে সহানুভুতি প্রবৃত্তি নিশ্চেষ্ট ও নিৰুদ্যম থাকে, তাহ হইলে অবশ্যই সহানুভূতি। স্বীকার করিতে হয় যে, সহানুভূতি প্রণয় সাপেক্ষ । কিন্তু কদাচ সেরূপ ঘটেনা। সুতরাং সহানুভূতির যে প্রণয়ের সহিত কোন সম্বন্ধ আছে তাছা বোধ হয় না । ব্যক্তিগত দোষ গুণ বিচার করিয়াও তাহার প্রতি সহানুভূতির উদ্রেক"হয় না। যখন দেখি, কোন নিমজ্জপ্রায় ব্যক্তি নদীগর্ভে জীব নাশায় অপরিসীম যাতনা ভোগ করিতেছেন—যখন দেখি, ভীষণ হলাহল ধারী ভুজঙ্গ কোন ব্যক্তির অজ্ঞাতসারে তাছার জীবননাশৰ্থ বদন ব্যাদান করিয়াছে—যখন দেখি, মরহন্ত তামসী রজনীতে নিরপরাধী পথিকের জী বন সংছারার্থ আসি উত্তোলন কfরয়াছে—যখন দেখি, দুরন্ত সিংহ পৰ্য্যটকের কথির পানাশয়ে লম্ফ ত্যাগের উপক্রম করিতেছে, তখনই আমরা তাছার সাহায্যণর্থে পরিধাবিত হই । সে ব্যক্তি সৎ কি অসৎ, তাহার দ্বারা জগভের ইষ্ট কি অনিষ্ট সাধিত হইবে তাহা মুহুর্তেকের নিমিত্তও ভাবনা করি না। দৃষ্টি মাত্র তাছার উদ্ধারার্থ ধাবিত হই, অসাধ্য হইলে অন্ততঃ তজন্য নিতান্ত ব্যাকুল হই। সহানুভুতি তাছার প্ররোচক । সহানুভূতি কোন দোষ• গুণ সাপেক্ষ নছে । - .. কোন কোন দার্শনিক সহানুভূ