পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مرا۹چ তিকে মানব হৃদয়ের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র বৃত্তি বলিয়া বিবেচনা করেন না । কিন্তু স্থির চিত্তে বিবেচনা করিলে প্রতীতি হুইবে যে, যদিও সহানুভুতির অন্য কোন ধৰ্ম্মের সহিত কোন রূপ সম্বন্ধ থাকে, তথাপি ইহা যে মানব হৃদয়ের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র মনোবৃত্তি তৎপক্ষে কোনই সন্দেহ নাই । ফলতঃ যাহাই হউক সহানুভূতি মানব হৃদয়ের অতি উচ্চ মনোবৃত্তি । সহানুভূতি মনুষ্যকে মন ধ্যত্ব দিতেছে, ও মন য্য নামের অযথা গৌরব বৃদ্ধি করিতেছে । সহানুভূতি না থাকিলে জগতের অৰ্দ্ধাধিক আনন্দ বিলয় প্রাপ্ত হইত। সংসার সমভাবাপন্ন ও বিরক্তি জনক হইয়া উঠিত । সকলেই সকল সময় সুখ ভোগ করিবে বা সকলেই সময় ক্লেশ ভোগ করিবে প্রাকৃতিক নিয়ম ইহার বিরোধী । সহানুভূতি এই বিরোধিতার মধ্যস্থ । সম্পদে কি মুখ তাছা তুমি জানিতে পরিলে না । কিন্তু তোমার পাশ্বস্থ প্রতিবেশী সম্পন্ন । তুমি ভাষা মুখেই মুখ । তাছার বাটতে মহোৎসব প্রলাপ | (জ্ঞানাকুর বৈঃ, ১২৮৩ সময়ে যখন অগণ্য লোক উদর পূরিয়া আহার করি ভেছে ও মহানন্দে রত রহিয়াছে, তখন যাহার হৃদয়ে ঈর্ষা বা কপটতা নাই, সে আত্মবৎমনে করিয়া প্রতিবেশীর আনন্দে আনন্দ ভোগ করিতেছে । আর যে ব্যক্তি শোকের দুঃসহ ভারে মৃতপ্রায় হইয়া রছিয়াছে তোমার আত্মীয়তায়, তোমার চক্ষের জলে, তোমার উৎসাহে, সে সমস্ত ভুলিয়া সংসারক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া, বিষয় ব্যাপারে নিমগ্ন হইতেছে। সহানুভূতি হৃদয় ভাণ্ডারের অতি মছা রত্ন । সহানুভূতি না থাকিলে সুখ দুঃখীর সংসর্গ হইতে দূরে পলারন করিত ও দুঃখী মুখীর অনায়ত্ব সুখের অংশ লইত না । এইরূপে সংসার উদ্যম শূন্য, চেষ্টা শূন্য, উৎসাহ শূন্য, বিষাদপূর্ণ স্থান হইয়া উঠিত। কোন বিপমের বিপদ, উপবাসীর কষ্ট, নিরাশ্রয়ের ক্লেশ, ব্যাধির যাতনা প্রভৃতি অসংখ্যবিধ সাংসারিক ক্লেশ অপর কেহুই হৃদয়ঙ্গম করিত না । সংসার কি বিসদৃশ স্থান হইভ ! 2거 আর লো প্রমদা ! নিঠুর ললনে বার বার বল কি অণর বলি ! মরমের তলে লেগেছে আঘাত হৃদয় পরাণ উঠেছে জ্বলি !