পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3bペ “ সময় অণপ, এখন বস। ভার। " যোগেশ ভদ্রতা সহকারে কহি লেন,— তবে কি অভিপ্রায়ে আসা বলুন।” রামকৃষ্ণ বলিলেন,— “অভিপ্রায় এমন কিছু নয়। রুদ্রকান্ত বাবাজীর তোমার সহিত কি দর কণর আছে ; একবার যেতে পারবে কি ?” যোগেশ বিনীত ভাবে বলিলেন,— “যে আজ্ঞা, আমি সময়াস্তুে গিয়া সাক্ষৎ করিব । ” রামকৃষ্ণ প্রস্থান করিলেন। যোগেশ অব্যবস্থিত ভাবে পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন । তাহার চিত্ত আরও অস্থির হুইল । নানাবিধ চিস্তু। আসিয়া হৃদয় আচ্ছন্ন করিল । মনে দাৰুণ সন্দেহ উপস্থিত হইল। কি মনে হইল, সত্বর বাটী আসিবার নিমিত্ত পুনরাবৰ্ত্তন করিলেন । সহসা একট পরিচিত প্রতিবেশিনী বালিকা উtছার নিকটে আসিল । তিনি ভাছ লক্ষ্য করিলেন না। দেখিলেন–কিন্তু সে দেখা শূন্য দৃষ্টি। বালিকাকে পশ্চাতে রাখিধ। যোগেশ চলিয়া গেলেন । বালিকা তখন সংকুচিত ভাবে ক ছিল,—

      1. { लj-

যোগেশ স্থির ভাবে দাড়াইয়া বালিকার বদনের প্রতি কঠোর দৃষ্টি বিমল । (দুiমাকুর বৈঃ, ১২৮৩ পাত করিলেন । বালিকা ভীত হইয়। যাহা বলিবে, তাহা ভুলিয়া গেল । ক্ষণপরে কোমল স্বরে যোগেশ জিজ্ঞাসিলেন,— “কুসুম ! কোথা যাচ্ছ ? ” কুমুমের সাহস হইল। বলিল,— “দাদা তোমার এই চিঠিী ।” যোগেশ কুসুমের হস্ত হইতে পত্র গ্রহণ করিলেন । দেখিলেন,—শিরোনামে তাহারই নাম লেখা। পত্র তাহারই বটে । লেখাটা যেন স্ত্রীলোকের মত। হস্ত বিকম্পিত হইল। মন অস্থির হইয়া উঠিল । ব্যস্ততা সহ যোগেশ পত্রিকা উন্মোচন করিয়া পাঠ করিলেন । তাছাতে এই কয়টা কথা লিখিত ছিল । “বিমলা ৰুদ্ৰকান্ত বাবুর চতুরীতে অবৰুদ্ধ হইয়াছেন । কোথায় আছেন জানিনা। আপনারা তা হার জন্য ঘোর চিন্তিত বলিয়া যাহা জ্বামিতাম তাহা জানাইলাম। অনুসন্ধান করিলে সহজে সন্ধাম পাইলেন । হতাশ হুইবেন না। “পত্ৰ খানি পড়িয়া ছিন্ন করিবেম নচেৎ আমার বড় বিপদ হইবে । “যিনি এই কার্য্যের মুল, র্তাছার নাম আপনাকে জানাইলাম। অনুরোধ করি তাহাকে বিপদাপন্ন বা অপমানিত করিবেন না, “আমি কে তাছা জানিয়া কাজ নাই । ইতি ”