পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর বৈঃ, ১২৮৩) পত্রে তারিখ নাই । লেখকের নামও নাই। যোগেশ পত্ৰ পড়িয়া বাতুলের ন্যায় অস্থির হইলেন। র্তাহার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । কিঙ্কৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া বোগেশ প্রথমতঃ অজ্ঞাত লেখকের অনুরোধানুযায়ী পত্ৰ খানি খণ্ড খও করিয়া ফেলিলেন । কুসুম ভাবিল, পত্র খানি দিয়া সে বুঝি কোন দুষ্কৰ্ম্ম করিয়া থাকিবে । ভয়ে,—এক দৌড়ে যোগেশের সম্মুখ হইতে প্রস্থান করিল। যোগেশ তাছাকে আরও কি জিজ্ঞাসিবেন ভাবিয়াছিলেন, তাহা হইল না । ব্যস্ত হইয়া যোগেশ ভবনে প্রবেশ করিলেন । কাছাকেও কিছু না বলিয়া উত্তরীয় গ্রহণ করিয়া যোগেশ ৰুদ্ৰকাস্তুের সছিত সাক্ষণতাশয়ে প্রস্থান করিলেন । নবম পরিচ্ছেদ | ৰুদ্ৰকান্তু ও রামকৃষ্ণ বৈঠকখানায় বসিয়া চরস ফুকিতেছেন । মন বড় প্রফুল্ল । উভয়ে যেন আনন্দ সাগরে গা ঢালিয়া দিয়াছেন । ৰুদ্ৰকান্ত বলিলেন,— ‘মামা ! তোমার কি বন্দোবস্ত আমি বুঝিতে পারি না, এখনও তুমি যে যেতে বারণ কর এর মানে কি ?” মাতুল রামকৃষ্ণ বলিলেন, বিমল | &bro “হাঃ হাঃ বাবা ! ভাল ভিন্ন মন্দ কথা তোমার মামা কখন বলেন না।” ৰুদ্ৰকান্ত বলিলেন,—“ত যাক, ষোগেশের রকমটা কি দেখলে বল তো বাবা ।” “আর বাবু সে কথা কও কেন ?" “কি রকম ?’ $"দেখতেই পাবে, আসবে এখনি ।” *“এলে তার সঙ্গে কোন অতন্দ্র ব্যবহার করা হবে না, লোকটা শক্ত ।” “তুমি নেহাৎ ছেলেমানুষ ! ওর কি ক্ষমতা আছে ?” “না বাবু তুমি জান না ।” “তুমি রেখে দেও । ঢের ঢের লোক দেখেছি। তুমি ভয় খেও না। আমি থাক্তে, তোমার কোন ভয় নাই ।” মাতুল ও ভাগিনেয় যখন এবম্বিধ সদালাপে ব্যাপৃত সেই সময় উন্মক্তবৎ অস্থিরতা সহকারে যোগেশ তথায় প্রবেশ করিলেন । অতি কষ্টে মনোবেগ সম্বরণ করিয়া যোগেশ বলিলেন ;– o

  • মহাশয় ! আমণকে কি অভিপ্রয়ে স্মরণ করিয়াছিলেন ?”

ৰুদ্ৰকান্ত সহাস্যে বলিলেন, – ‘বসুন, ব্যস্ত হতেছেন কেন ?” যোগেশ গম্ভীর ভাবে বলিলেন,— “কেন ব্যস্ত জানেন না কি ?” ৰুদ্ৰকান্তপূৰ্ব্ববৎ ভাবে বলিলেন,— "কই না, কি বলুন দেখি ?"