পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৯৭

ミbr8 কথার প্রত্যেক অক্ষরে যেন দুঃসছ পরিহাসের স্বর প্রকাশিত হইতে লাগিল । যোগেশ কষ্টে তাছা সহ্য করিলেন । বলিলেন,— “সে কথা শুনিয়া মহাশয়ের বিশেষ বিমল | কোন লাভ নাই। আপাততঃ কি জন্য । আমায় ডাকিয়াছিলেন বলুন।” র মরুমুও বলিলেন,— “যোগেশ বাবু! ঘোড়ায় চড়ে এসেছ না কি ?” যোগেশ বিরক্ত ছইয়া বলিলেন,— “কেন ব্যঙ্গ করেন ? আমার শরীর ও মন বড় অসুস্থ আছে। আপনাদের যদি কোন কাৰ্য্য থাকে বলুন।" ৰুদকান্ত ব্যঙ্গ স্বরে কছিলেন,~ “যোগেশ বাবু? একটা বড় বিস্ময়-জনক সংবাদ শুনলাম, সত্য | কি ?” ষোগেশ বলিলেন, “কি ?” ৰুদ্ৰকান্ত পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকতর ব্যঙ্গ সহকারে কছিলেন,— “আপনার বিমলা না কি,—” | যোগেশ আর বলিতে দিলেন না । তাহার সংজ্ঞা তিরোছিত হইয়া গেল । র্তাহাকে যেন নিদ ন সপে দংশন করিল। প্রকৃতিস্থ হইয়া বলিলেন,— “মহাশয়, কি আমাকে পরিহাস করিবার নিমিত্ত ডাকিয়াছিলেন !” i i (জ্ঞান কুর বৈঃ, ১২৮৩ “এ কথায় কি পরিহাস হলো ?” যোগেশ বলিলেন,— “আপনি জানেন মনুষ্যকে নিরর্থক কষ্ট বা যাতনা দেওয়া মহা পাপ ।” রামকৃষ্ণ গাল টিপিয়া হাসিতে লাগিলেন । ৰুদ্ৰকাত্ত কহিলেন, “মহাশয় ! আমার উপর রাগ করিবেন না । আমি শুনিয়াছি মাত্র ।” যোগেশ পূর্ববৎ ভাবে কছিলেন,— “ৰুদ্রেকান্ত বাবু! আপনি ভদ্র সন্তান, ধনবান । আপনার ব্যবহার সকলের আদর্শ স্থল হওয়া আবশ্যক । প্রভুতার সহিত সততা মিশ্রিত হইলে আতি মনোরম হয় । কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনার রীতি, নীতি, কাৰ্য্য ব্যবহার এতই নিন্দনীয় যে, তাহ মনে করিতেও লজ্জা ও ঘৃণার উদয় হয়। কোথায় আপনি সমাজের মস্তক স্বরূপ হইয়া দেশের দুনীতি সমস্ত বিদূরিত করবেন, না আপনার দুনীতিতে জন সাধারণ জ্বালাতন । ভাবিয়া দেখুন, ৰুদ্ৰকান্ত বাবু ! একবার ভাবিয়া দেখুন, আপনি সম্প্রতি কি ঘোরতর দুফার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেছেন। আমার সহিত প্রতারণা করিবেন না ; বলুন বিমলা কোথায় আছেন ?” ৰুদ্ৰকাত্ত হাঃ হাঃ শব্দে হাসিয়া বলিলেন,— “যোগেশ বাবু বেশ লেকুচর দিতে পারেন তো ? রামনগরে আপনি মধ্যে