পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২৮২) দেখিলে যথার্থই রাজার ছেলের ন্যায় বোধ হইত ; তাছার ললাট উচ্চ ও বক্ষঃস্থল সুপ্রশস্ত ছিল। সংস্কৃত কবির স্ত্রী কিম্বা পুৰুষের মুখ চন্দ্রের সহিত তুলনা করিয়া থাকেন কিন্তু নরেন্দ্রের মুখমণ্ডলে স্থৰ্য্য ও চন্দ্র উভয়ের গুণ বিমিশ্রিত ছিল । তাছা যেমন তেজস্বী তেমনি মধুর ও প্রীতিকর । যুবতীটি উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ ও কৃশাঙ্গী ; কিন্তু পদ্মের কোমলতা ও লাবণ্য দ্বারা তঁহীর সর্বাঙ্গ মণখ! ছিল । তাছার মুখশ্ৰী নিরূপম ছিল ; যদি তাহার কোন উপমা থাকে তবে উড়িষ্যার প্রাচীন দেবমন্দিরের প্রাচীরের উপরে খোদিত কোন রমণী-মুখের সহিত থাকিতে পারে* । উপন্যাস লেখকের স্ত্রীলোকের সৌন্দৰ্য বর্ণনা কালে ভাহাদিগের প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বর্ণনা করিয়া থাকেন । কিন্তু এ প্রকার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বর্ণনা করিয়া কি সৌন্দর্য্য বর্ণনা করা যাইতে পারে ? সৌন্দৰ্য সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বগঠনের ফল । বস্তুতঃ সৌন্দৰ্য্য A অনুভব করা যায়, কিন্তু বর্ণনা काँ যায় না ।

  • স্ক্রযুক্ত বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয়ের দ্বারা ইংরেজীতে প্রণীত উৎকন্সের পুরাতত্ত্ব বিবরণ পুস্তকের শেষের চিত্রগুলি দেখ ।

অমৃতাঙ্কুর । & Go উল্লিখিত গৃহে নিস্তব্ধতা বিরাজমান । যুবতীটি প্রথমে সেই নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিলেন । তিনি পলিলেন – “কল্যই কি মিময় যাইবে ? ” যুবক উত্তর করিলেন,— ' . “নিশ্চয়ই যাইব । আমার পিত্রালয়ে fo. সুকঠিন হুইয়াছে। আমার পিতা -আমাকে বড় পীড়ন করিতেছেন । সে পীড়ন আর আমি সহ্য করতে পারি না । ছোট ম যাহা তাহাকে বলেন, তিনি তা হাই শুনেন । তোমার পিত; আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন, তাহার নিজ পুত্র অপেক্ষাও তিনি আমাকে শ্নেহ করেন । তিনি এই খানেই থাকিতে বলেন । কিন্তু আমি কিপ্রকারে থাকিতে পারি। সে কি পুৰুষোচিত কার্য্য হয় ? লোকেই বা কি বলিবে ?” 轉 রাত্রি অবসান হুইল । উষার সময়ে নরেন্দ্র র্তাছার স্ত্রীকে জাগাইলেন, এবং বিদায় প্রার্থনা করিলেন । পরস্পর প্রকৃত প্রণয়-সুত্রে বদ্ধ দম্পতীর সম্বন্ধে “বিদায়” শব্দ কি ভয়ানক ! এই শব্দে পরম্পরের মন নিপীড়িত হুইয়। কি যন্ত্রণ ভূেণগ করে তাছা কি বর্ণনা করা যাইতে পারে? কোন কোন পুৰুষ এই সময়ে ঈষদ্ধাস্যের ডান করেন, কিন্তু এসময়ে তাহার অন্তর কি করে তাহা অস্তুরই জামে । নরেন্দ্রের ঈষদ্ধাস্যও করিবার কোন কারণ ছিল