পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ e পাঠক মহাশয়কে বলিয়া দিতে হইবে না যে, ঐ মূৰ্ত্তিদ্বয়ের মধ্যে একটা আনন্দময়ী দেবীর এবং অপরটা মন্দাকিনীর । আনন্দময়ী দেবী অঙ্গুলি সঙ্কেতদ্বারা মন্দাকিনীকে দেখাইলেন, “ঐ দেখ শশিশেখর।” মন্দাকিনী দেখিয়া যেন শিহরিয়া উঠিলেন। তাছাতে কথঞ্চিৎ ঘৃণার লক্ষণই প্রতিভাত इ३व्न । আনন্দময়ী দেবী কছিলেন,— “মন্দাকিনি ! দেখিলে, তোমার শশিশেখরকে দেখিলে ? তোমার গুণ নিধিকে দেখিলে ? বিবেচনা করে দেখ—অামি কেমন রত্নকে পাইয়াছি ! কুলকলঙ্ক—" মন্দাকিনী কহিল,— “দেখিলাম,—আকৃতি আমার স্বামীর মতন ছয়েছে । কিন্তু শশিশেখরকে অামি এরূপ স্বভাবের দেখিব, মনে করি নাই । যা হউক সস্তানের মায়া কখনই যায় না । কুসন্তান জগতে অনেক, কিন্তু কুমাতা প্রায় পাওয়া যায় না ।” এই বলিয়া মন্দাকিনী অনিমেষ সোচনে শশিশেখরকে দেখিতে লাগিলেন । আনন্দময়ী মনে মনে কহিতে f تس-,TRچitfittچ “আমি এই মরাধমের সহিত भौ । (জ্ঞানীকুর জ্যৈঃ ১২৮৩ রমণীরত্ব মুকুমারীর বিবাহ দিবার ইচ্ছ। করেছি! উঃ কি ভয়ালক ! শাপের উপর পাপ ! বানরের হাতে মুক্তাছার, কিন্তু তা করিতেই হইবে।— ধৰ্ম্মবুদ্ধির সহবাসে পাপীর মুক্তি সম্ভাবন । সুকুমারীর দ্বারা শশিশেখরের চরিত্র শোধন হতে পারে । এই কার্য্য শীঘ্রই সম্পাদন কত্যে হবে ।” এই বলিয়া উভয়ে প্রস্থান করিলেন এবং মন্দাকিনীর থাকিবার উত্তম বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া, আনন্দময়ী বিশ্রাম গৃহে গমন করিলেন । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । যুবক যুবতী । প্রভাতে পূৰ্ব্ব দিকের প্রহরী কে? —স্বৰ্য্যদেব । স্থৰ্য্যদেব উঠিবণর পূৰ্ব্বে শৃগাল এবং পক্ষীগণ নকিবের ন্যায় অৰুণোদয় জ্ঞাপন করিল। যাহার যেমন অভ্যাস, সে তেমনি গাত্ৰোথান করিতে আরম্ভ করিল। রায় বাগানের সকলকেই উঠিতে দেখিলাম । কিন্তু যে ব্যক্তি বিশেষ রূপে অনুসন্ধান করিয়া দেখিবে, সে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাইবে না । কাছার সাক্ষাৎ পাইবে না ? সুকুমারীর । সুকুমারী ষে কক্ষে শয়ন করেন, তাছা অনুসন্ধান করা ছইল, কিন্তু সেখানে তাছার সাক্ষাৎ পা ওয়া গেল না। শয্যা ও কক্ষের অবস্থা