পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান সুর জ্যৈঃ, ১২৮৩) দেখিয়া বোধ হইল, তিনি অধিকক্ষণ কক্ষ ত্যাগ করেন নাই। পাঠক-–উদ্যান মধ্যে অনুসন্ধান কৰুন— মনোমোহিনী সুকুমারীকে দেখিতে পাইবেন। পুষ্প চয়ন করিবার জন্য গুণময়ী হয় তো উদ্যানে ভ্রমণ করিতে ছেন । রায় বাগানের উত্তর প্রান্তে একটা সুন্দর বৃক্ষ বাটিক ছিল । তন্মধ্যে রমণী-কুল-কমলিনী সুকুমারী উপবিষ্ট । উদ্যান মধ্যে স্থানে স্থানে যথেষ্ট উপবেশন উপযোগী আসন আছে । তাহারই একতম আসনে সুকুমারী সমাসীন । অৰুণোদয়ে বাহ্য জগৎ হাঁসিভেছে, প্রকৃতি খল খলকরিতেছে, কমলিনী নাচিতেছে, বনলতিকা দুলিতেছে, বনের পাখী গাইতেছে কিন্তু নবীন নবনীত পুত্তলি সুকুমারী বিষণ্ণা ! কে জানে জগতে মুখ দুঃখের কি নিয়ম ! ধীরে ধীরে এক নবীন যুবক স্বকুমারীর পশ্চাতে আসিলেন । সুকুমারী তাছা জানিতে পারিলেন না । যুবকের হস্তে এক গুচ্ছ পুষ্প ছিল । যুবতীর পশ্চাতে দাড়াইয়া যুবক অনেকক্ষণ কি চিন্তু করিলেন । পরে সজোরে হস্তস্থিত পুষ্পগুচ্ছ মুকুমারীর গাত্রে নিক্ষেপ করিলেন । মুকুমারী চমকিত হইয়া ফিরিয়া দাড়াইলেন । যুবক খিল-খিল করিয়া হাসিতে লাগি ক্রীপঞ্চমী । રજેS লেন । যুবক যুবতী উপবেশন করি লেন । সুকুমারী কহিলেন,— বিনোদ আমি গত রজনীতে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি, সেই জন্যই আজ এত সকালে তোমার সঙ্গে সাক্ষণতাশষ্ট্রে এখানে আসিয়াছি।” বিনোদ সুকুমারীর হস্ত ধারণ করিয়া ব্যগ্রতাসহকারে জিজ্ঞাসি লেন,— . “কি দুঃস্বপ্ন সুকুমারি ?” মুকুমারী বিনোদের বক্ষস্থলে মস্তক রাখিয়া কহিলেন,— - “বিনোদ । রাত্রিশেষে যেন আনমদময়ী দেবী আসিয়া আমার মুখ চুম্বন করিলেন । আর আমাকে বধূ, সম্বোধন করে কোলে নিলেন । আমার অমনি ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল।” বিনোদ কছিলেন,— “তাছাতে দোষ কি ?” সুকুমারী গদ্‌গদ্‌ স্বরে কছিলেন,— “তাহাতে দোষ নাই কেন ? *আমার বোধ ছচ্যে– বিধাতা বুঝি আমণকে শশিশেখরের সঙ্গে এক স্থত্রে বদ্ধ করবেন।” বিনোদ সুকুমারীর চিবুক ধারণ করিয়া কছিলেন,— “সুকুমার! আমার সঙ্গে বিবাহ হলেও আনন্দময়ী দেৰী তোমাকে বধু সম্বোধনে ক্রোড়ে কোতে পারেন ।