পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(জ্ঞানাঙ্কুর জ্যৈঃ, ১২৮৩ এই মিনতি রক্ষণ করিতে হইবে । আমি তোমায় হাতে ধরে বলছি, আমার এই কথাটা রক্ষণ করে আমাকে সুখী কর।” সুকুমারী মনে মনে কত কি ভাবিতে লাগিলেন । উপকারিণী আনন্দময়ীর অনুরোধ উপেক্ষা করা তাহার পক্ষে নিতান্ত কঠিন বোধ হইল। র্তাছার স্যায় সৎস্বভাব স্বরূপিনী রমণী কি অকৃতজ্ঞ হইতে পারে! যাহার নিকট তিনি আশ্রয় পাইয়াছেন, যণহার যত্বে তিনি পরম সুখে বাস করিতেছেন, সেই পরমোপকারিণী আনন্দময়ীর নিকট অকৃতজ্ঞ হইয়া, র্তাহার হৃদয় বেদনার কারণ হওয়া অপেক্ষা নিজ মুখে জন্মের মত জলাঞ্জলি দেওয়াও র্তাহার পক্ষে শ্রেয়ক্ষর বোধ হইল । সুকুমারী মনে মনে চিরদিনের জন্ত সুখে জলাঞ্জলি দিলেন। চক্ষের জলে বক্ষ ভাসিয় গেল । অনিনদময়ীর প্রস্তাবে স্বীকৃত হওয়াই স্থির করিলেন । কছিলেন,— “মা ! আপনার আজ্ঞা শিরোধার্য্য । আপনি আশীৰ্ব্বাদ করিলেই আমরা মুখী হইব ।” আনন্দময়ী আহলাদে প্রমত্তা হইয়া সুকুমারীকে আলিঙ্গন করিলেন । বার বার নবীনার মুখ-চুম্বন করিয়া কহিলেন,— - “মা ! চিরস্থখিনী হও । তুমি আজ আমাকে যেমন সুখী করিলে, শ্রীপঞ্চমী । & S& আমি আশীৰ্ব্বাদ করি, তোমরা চিরদিন সেই প্রকার সুখে কাল হরণ কর ।” বেলা অধিক হইল, উভয়ে স্ব স্ব কাৰ্য্যে গমন করিলেন । সপ্তম পরিচ্ছেদ । বৃক্ষবাটিক । মধ্যাহ্ন কাল উপস্থিত। শীতকালের মধ্যাহ্নে এমন কোন চটক থাকে না, যাহা বর্ণন করিয়া পাঠকের সময় নষ্ট করি । সুতরাং পাঠকের সহিত চটচটীর প্রয়োজন নাই । . বৃক্ষবাটিকার শিলাতলে কর কপেল সংলগ্ন হইয়া সুকুমারী বসিয়া আছেন । তিনি যে স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন তাহাই ফলিল । বিনো দের কথা কোন কাজে আসিল না । প্রণয়ে অনেক প্রতিবন্ধক। সুখের প্রতিপদে কণ্টক । স্বান হার সমাপনস্তে বিনোদের নিভান্ত মনশ্চাঞ্চল্য উপস্থিত হইল। তিনি শান্তি লাভের জন্য বৃক্ষবাটিকায় আসিলেন। দেখিলেন সুকুমারী চিন্তায় মগ্ন । বিনোদ অন্তরালে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । সুকুমারী দীর্ঘ,নিশ্বাস পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক আপন আপনি কহিতে লাগিগিলেন,—