পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১১

২৯৬ “হায়! যার ছায়া স্পশ কত্যেও স্ত্রীপঞ্চমী । (জ্ঞান কুর জৈঃ, ১২৮৩ বিনোদ কছিলেন “আমি সকলি মৃণা করি, তাকে পতিত্বে বরণ কত্যে | জানিতে পারিয়াছি—আর তোমার হবে ! হয় তো আদষ্টে আরও কত কি আছে । বিনোদকে কি বলিব ? কি বলিয় তাহার আশা ভঙ্গ করিব ? হা বিনোদ । বিনোদ ! বিনোদ । ” বলিয়া মূচ্ছি তা হইলেন । বিনোদ আর থাকিতে পরিলেন না । আন্তরাল হইতে আসিয়া “ভয় কি ! ভয় কি !" বলিয়া মুকুমারীর মস্তক অঙ্কে ধারণ করিয়া বসিলেন । নবীনার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্ম হইতে লাদিল--ঘৰ্ম্ম ক্ষণিক, ক্রমে অলপ চৈতন্য,—পরে নিদ্রাকর্ষণ হইল । নিদ্রিতাবস্থায় যেন তাঁহাকে নিতান্ত অস্থির বোধ হইতে লাগিল । স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন। স্বপ্ন বিবরণ অস্ফুট বাক্যে প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । “যাও, আমাকে স্পশ করিও না । তোমার মাতার নিকট আমি চির-ঋণে আবদ্ধ—তাতেই এই দুদৈব ঘটেছে । কি পাপ ! এখনো বিবাহ হয় নাই— আমাকে স্পর্শ করিবার তোমার অগ্নিকর নাই । পিশাচ–রাক্ষস—পাতকী —নারকী-—আমার হৃদয় নাই—সে অন্যের । তায় তোর অধিকার কি? দূর হ।" সুকুমারীর নিদ্ৰাভঙ্গ হুইল— দেখিলেন বিনোদের ক্রোড়ে মস্তক রহিয়াছে ; ধীরে ধীরে গব্রোধান করিয়া বসিলেন । | | কষ্ট পাইয়া বলিতে হুইবে না । সুকুমারী জিজ্ঞাসিলেন, “কি রূপে জানিলে ?” বিনোদ উত্তর করিলেন,— “প্রথমে অস্তুরাল হইতে—শেষে তোমার স্বপ্ন হইতে সুকুমারী বাষ্পগদদগদম্বরে বিনোদের হস্ত ধরিয়া কহিলেন,— “বিনোদ ! আমাকে রক্ষণ কর । আমাকে যেন অকৃতজ্ঞ হইতে না হয় । উপকারিণীর কথায় আমি 'না' বলিতে পারিলাম না। আমি কতবার অস্বীকার করিবার চেষ্টা করিলাম, কিন্তু কে যেন আসিয়) আমার জিহবা টানিয়া রাখিল। আমি তার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি।” এই বলিয়া ক্রমদন করিতে লাগিলেন । । বিনোদ উত্তরীয় বস্ত্রে সুকুমারীর নয়ন মার্জন করিতে করিতে কহিলেন -- “মুকুমার ! তুমি অন্যায় কাজ কর নাই । তুমি যদি তার প্রস্তাবে অস্বীকার করিতে, তাছা হইলে আমি তোমার উপর সন্তুষ্ট হইতাম না। আমরা উভয়েই র্তার নিকট যার পর নাই উপকণর পাইয়াছি,–ৰ্তার অভিমতের বিৰুদ্ধ কাজ করিলে আমাদের পাপ আছে । লোকতঃ ধৰ্ম্মতঃ পাপ । তুমি