পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাসুর জ্যৈঃ, ১২৮৩) সে জন্য ব্যস্ত হতেছ কেন ? আননদময়ী দেবী আমাদের জন্য না করিতেছেন কি ? অামাদের সুখ সচ্ছন্দের জন্য র্তার ভাণ্ডার মুক্ত রয়েছে। আমরা তার নিকটে যে ঋণে বদ্ধ, তাছা কি ইহজন্মে পরিশোধ হতে পারে, তার আদেশ পালন করিবার জন্য আমাদের জীবন পৰ্য্যন্ত বিসর্জন করা উচিত । তুমি এত ভীত হইতেছ কেন ? সাহসে নির্ভর কর । যত দিন জীবিত থাকিব, তত দিন তোমাকে প্রিয়তমা ভগিনীর ন্যায় স্বেছ করিব।” সুকুমারী বিনোদের বক্ষে মস্তক রক্ষা করিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । বিনোদ পুনরায় কছিলেন,— সিরাজ-উদ্দৌল ፵፭)% “সুকুমার ! কাদিয়া অণর কাদাও কেন ? তোমার ক্রমদন দেখিলে আমার বুক ফেটে যায়। ধৈর্য্য ধর—অস্থির হও কেন ? আমাদের উভয়েরই র্কাদিবার সমান কারণ, কিন্তু কাদিয়া কোন ফল নাই ।” ছুকুমারী, **ছা বিধাতঃ তোর মনে কি এই ছিল !" বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন । বিনোদ কহিলেন,- - “আমাদের মুখের অশ! এই থানেই ভঙ্গ হউক । সুকুমার ! এক্ষণে তুমি গৃহে যাও—আমাদের স্বেছ চিরদিন সমান থাকিবে, সে জন্য চিন্তু নাই । সিরাজ-উদ্দৌলা { উপক্রমণিক । ) এই অদূরদর্শী, নৃশংস, হতভাগ্য নরপতির নাম বঙ্গভূমে কাছারও অবিদিত নাই । অপরিপক্ক-মতি, বিদ্যা-বিবর্জিত, কুসংসগী, দুর্বিনীত বালকের হস্তে রাজকীয় ভার সমপিত হইলে রাজ্য যেরূপ বিপৰ্য্যস্ত ও উচ্ছঙ্খল হওয়া সম্ভাবিত, সিরাজ-উদ্দৌলার সাশন কালে বঙ্গভূমির সেই দুর্দশ ঘটিয়াছিল । অতুল সম্পত্তি রাশি যাহার পদাৰনত, অমিত ও অবিসম্বাদিত প্রভুত থাকে। সিরাজউদৌলার দুস্কিয়া যাহার দক্ষিণ হস্ত, সেরূপ জ্ঞানকাও বিরহিত ব্যক্তি না করিতে পারে এমন দুষ্কৰ্ম্ম নাই । সিরাজ-উদ্দৌলা জীবন্মধ্যে এমন দুষ্কৰ্ম্ম নাই, যাহা স্বয়ং সম্পাদিত করেন নাই । সেই জন্যই এক শতাব্দী উত্তীর্ণ হইল, তথাপি অদ্যাপি বঙ্গভূমির আবাল-বৃদ্ধ বণিতা সভয়ে “নবাব সিরাজউদেীলার” নাম সত্তত উচ্চারণ করিয়া |