পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به این مv সহস্র উদারতা থাকিলেও এ সমস্তের হস্ত হইতে নিস্তার লাভ করা মনুষ্য সাধ্যের অতীত। মনুষ্যের তিল প্রমাণ দোষ জগৎ সংসারে প্রচারিত হইবার সময়ে তাল প্রমাণ হুইয়া থাকে । জনরব দেযাঙ্ক র পাইলে সত্বর তাহাকে পল্লবিত করিয়া তুলে, ইহা নুতন কথা নছে। সিরাজউদৌলার জীবনী নির তিশয় জঘন্য হইলে ও ভাহা যে এবম্বিধ অবশ্যম্ভাবী, অপরিহরণীর পরিণাম নিচয়ের অধীন হয় নাই তাহা কে বলিতে পারে ? ফলতঃ যাহাই হউক, র্তাহার ইতিহাস সকলেরই সম্যক অtলোচ্য। আমরা সিরাজউদৌলার সেই লোমহর্ষণকারী ইতিহাস যথাসম্ভব যত্ব সহকারে সংগ্ৰহ করিয়া পাঠক মহাশয় দিগকে উপহার দিতেছি । ----- সিরাজ উদ্দৌলার যথাযথ ইতিহাস সঙ্কলনের পূৰ্ব্বে অতি সংক্ষেপে দেশের তৎপূর্ববর্তী ইতিহাসের স্থল মৰ্ম্ম ও দেশের তৎকালীন অবস্থার কিঞ্চিৎ বিবরণ নিতান্তু প্রয়োজনীয় । আমরা অতি অলপ কথায় এই উভয় কার্য্য সমাপনের চেষ্টা করিতেছি । খৃষ্টীয় ১২০৩ সালে সাহেব-উদ্দীন ঘোরীর শাসন কালে বকৃতিয়ার খিলিজি বঙ্গদেশের স্বাধীনতার মূলে বিষম কুঠারাঘাত করেন। অতি প্রাচীন ও সমৃদ্ধিশালী লক্ষণাবতী নগরী সিরাজ-উদ্দৌলা । (জ্ঞানাকুর জ্যৈঃ ১২৮৩ ভৎকালে বঙ্গদেশের রাজধানী ছিল । ঐ সময় হইতে ১৩৯৯ সালে তৈমুর লঙ্গের আক্রমণ কাল পর্য্যন্ত, প্রায় দুই শতাব্দী কাল বঙ্গদেশ নিয়ত দিল্লীশ্বরগণের শাসনাধীন থাকে । ইতি মধ্যে কখন বা কোম সাশনকর্তা স্বয়ং স্বাধীনতা পরিগ্রহ করিয়া তখনি পর্য দস্ত হইয়াছিলেন, কখন বা দিল্পীশ্বর কোন নিকট জ্ঞাতিকে স্বাধীনতা দান করিয়াছিলেন । তৈমুরলঙ্গের উপদ্রবে ভারতবর্ষের তৎসাময়িক শণসন প্রণালীর যথেষ্ট বিপর্যয় ঘটে । যে যেখানে সুবিধা পায়, সে তথায় স্বতন্ত্র স্বাধীন রাজ্য সংস্থাপন করে । দেশ মধ্যে এইরূপ কোন অজ্ঞাতপূর্ব বিষম বিপ্লব উপস্থিত হইলে, শাসন প্রণালীর এবম্বিধ অব্যবস্থা অপরিহরণীয়। ঐ সুবিধায় ১৪৪৭ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের শাসনকৰ্ত্তা আপনাকে স্বাধীন বলিয়া প্রচারিত করিয়া দেন । ১৪৯৪ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের স্বাধীন ভূপতি আলোউদ্দীন সমান বন্দোবস্তে দিল্লীশ্বর বাদশাহ সেকন্দর সাহের সহিত সন্ধি সংস্থাপন করিয়াছেন দেখিতে পাওয়া যায়। সেই সময় হইতে বহুকাল পর্যন্ত বঙ্গদেশের অবস্থা ঐ রূপই চলিতে থাকে। পরে অমিততেজ অসম সাহসী বাবর দিল্লীর সিংহাসন আক্রমণ ও অধিকার করেন । কিন্তু কোন স্থানে নুতন রাজ্য সংস্থাপিত করিতে হইলে,