পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১৭

جت ات একের কথা লিখিতে হইলে অন্যের বিবরণ নিতান্ত প্রয়োজনীয় । মূল হইতে ইংরাজদিগের ভারত গমন সম্বস্বীয় বিবরণ সৰ্ব্বথা আবশ্যক । ইহার আর এক আবশ্যকতা আছে । কিরূপে সুকৌশলী ইংরেজ জাতি বঙ্গদেশে প্রবেশ লাভ করেন এবং কিরূপে অনধিককাল মধ্যে তাহার অধীশ্বর হইয় উঠেন, তাহা বিদিত হওয়া বিধেয় । ১৬৩৬ অব্দে বাদশাই সাহজিহানের এক কন্যা সাংঘাতিক পীড়ায় অক্রোন্ত হন । র্তাহার চিকিৎসার্থ সুরাট হইতে বউটন নামক একজন ইংরাজ চিকিৎসক আহুত হন। র্তাহার চিকিৎসায় সাহজিহান তনয়৷ আরোগ্য লাভ করিলেন । বাদশাহ সন্তুষ্ট হইয়া বউটনকে বিবিধ ধন রত্ব দ্বারা পরিতুষ্ট করিলেন এবং তাহার সাম্রাজ্য মধ্যে সৰ্ব্বত্র বিনা শুলেক বাণিজ্য করিবার আজ্ঞা ও ক্ষমতা প্রদান করিলেন । বউটন বঙ্গদেশ হইতে পণ্য ক্রয় করিয়া তৎসমস্ত সাগরপথে মুরট প্রেরণ করিবার অভিপ্রায়ে বাঙ্গালায় আসিলেন । সম্রাটের আজ্ঞা বশবৰ্ত্তী হইয়। নবাব র্তাহাকে সহজে দেশ মধ্যে বাণিজ্য করিতে দিতেন না । কিন্তু বাঙ্গালার প্রত্যেক ঘটনাই ইংরাজদিগের অনু সিরাজ-উদ্দৌলা । | | | (জ্ঞানাকুর জ্যৈঃ ১২৮৩ ও অত্যুদরের পথ বাঙ্গালায় সহজ হইয়াছিল। ঘটনাক্রমে সেই সময় নবাবের এক প্রিয়তম কামিনী কঠিন পীড়াগ্রস্তা হন । বউটন র্তাহাকেও আরোগ্য করিলেন । নবাব পরম পরিতুষ্ট হইয়। বউটনকে যথেষ্ট বেতন নিদ্ধারিত করিয়া দিয়া নিজ সন্নিধানে থাকিতে অনুরোধ করিলেন। বউটন বাণিজ্য সম্বন্ধে যে সম্রাটাজা পাইয়াছিলেন । নবাব ভগহাও বলবৎ করিয়া দিলেন এবং সমস্ত ইংরাজজাতিকে বিনা শুক্লেক বঙ্গদেশে বাণিজ্য করিবার ক্ষমতা প্রদান করিলেন । বউটন এই শুভ সমাচার সুরটের গবর্ণরকে জানাইলেন । র্তাহার পরামর্শ ক্রমে ১৬৪০ অব্দে “ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি” বাঙ্গালায় ২ খণনি বাণিজ্য তরি প্রেরণ করিলেন । বউটন তরির এজেণ্টগণকে নবাবের নিকট পরিচিত করিয়া দিলেন । নবাব তাহদের অতি শিষ্টাচার সহকারে গ্রহণ করিলেন এবং তাহদের ব্যবসায় উন্নতির নিমিত্ত যথোচিত সাহায্য প্রদান করিলেন । এইরূপে ইংরেজ জাতি বণিকরূপে বঙ্গভূমে প্রবেশ করিলেন । । পাঠক ! মুসলমান ভূপতির উদারভা ও ইংরেজ বণিকের আগমন প্রকৃতি g } § } i স্মরণ করিয়! রাখিবেন । ভারতে সেই বণিকু জাতির অবস্থা অদ্য কি উচ্চ ! সেই কুল হইয়াছিল । তাঁহাদের উন্নতির | বণিক সম্প্রদায় অদ্য ভারতের ঈশ্বর—