পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞা নাকুর অঃ, ১২৮২) কথা কতদূর সঙ্গত ও কি অতিপ্রায়যুক্ত ভগছা ঠিক বলা যায় না। আবার নিতান্ত অসত্য জ্ঞান করাও যায় না । যে হেতু ভূত-পঞ্চকের মধ্যে পৃথিবী ভিন্ন অন্য কোন ভুন্ডেরই কঠিন স্পর্শ নাই, স্থৌল্যও নাই । যাবৎ স্থূলতার প্রতি, যাবৎ কঠিন স্পর্শের প্রতি, এক পৌরাণিক ভূরত্তান্ত

  • |

“উক্ত পৌরাণিক গম্পটীর আভ্যস্তরীণ অভিপ্রায় এ রূপ হইলে হানি কি ? নিৰ্ম্মল জল, তেজঃ ও বায়ুর সংসর্গে কদাচিৎ বিরুত ছইলেও হইতে পারে—স্কুল হইলেও হইতে পারে— কিন্তু তুৰ্দশ প্রকারের স্কুল জল কদাচ পদার্থান্তর হইতে পারে না,-যেমন মাত্র পৃথিবীই-পুস্কল কারণ । অতএব ੇ। জল, বিরুত হইয়া স্কুল ও কস্থল ও কঠিন স্পর্শ বর্তমান পৃথিবীর ঠিন স্পর্শ করকার উৎপাদন করিলেও কারণ ও এতত্ত ল্য পদার্থ হওয়াই সঙ্গত। তাহ জল হইতে ভিন্ন পদার্থ নহে। এখন বিবেচনা করুন, বৈদিক এই রূপ মৌলিক জল সকল ডেজঃ ও আচার্য্যের বলিলেন, “ জল হইতে কঠিনম্পর্শ হইয়াছে কম্পনা করা যায়, পৃথিবী সমুৎপন্ন হইয়াছে।” আর ভথাপি তাহার পদার্থাস্তুরতা ঘটে না ; পৌরাণিক পণ্ডিতেরা বলিলেন, “ জল মনে হয় সেই জলই আছে। অতএব, হইতে পৃথিবী একথা সত্য, কিন্তু তাছা সেই অনন্ত মৌলিক জল-রাশির পরিমধুকৈটভের শরীর পতন হওয়ার ণামে পৃথিবী নামক পদার্থস্তরের পরে। ” এই দুই বাক্যের অন্যতর উৎপত্তি হওয়া চাই—পদাৰ্থ স্তর রূপে বাক্যকে যদি আমরা মিথ্যা জ্ঞান না করি, তাহা হইলে, কি রূপ ব্যাখ্যা করিলে সামঞ্জস্য ছইতে পারে ইহা বিবেচনা করা যাউক । মীমাংসুকাচাৰ্য গণগভট এক সময় বলিয়াছিলেন “পরোক্ষ বিষয়ের তত্ত্বাবধারণ,—আর অব্যক্তধ্বনির অর্থ। কম্পনা—(ঢেঁকীর কচকচি . উভয়ই তুল্য । যখন যাহা ভাবা যায় তখন তাছাই সত্য বলিয়া প্রতীত হয়।” গাগাতট্টের এই কথা শিরোধাৰ্য্য করিয়া আমরা উক্ত উভয় মতের সামঞ্জস্য কল্পনা করিলাম । উৎপন্ন ন হইলে ভাছ চিরস্থায়ী হয় না, চিরস্থায়ী ন হইলেও ব্যবহারের উপযোগী হয় না। যদিও আণবিক স্বাধ্যাকর্ষণ বলে বা ঈশ্বরেচ্ছ বশতঃ বিরুত পরমাণু সকল চির-সংস্থত হইতে পারে, তথাপি তাহাতে সহকারী নিমিত্তের সংযোগ কণপন করিবার দোষ কি ?—মনে কর.উষ্ণতার অপগম হইলে শার্কারক অনুসকলের স্বভাবতঃ সংহত হুইবার শক্তি থাকিলেও যেমনমৎস্যাও (মিছরি) প্রভৃতি উৎপাদমের নিমিত্ত তাছাতে সহকারি-লিমিত্ব-রূপ বীজ প্রক্ষেপ করার আবশ্যক কৃষ্ট হয়,