পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর জ্যৈঃ, ১২৮৩) লেতাশি গুৰুকাৰ্য স্থনির্বাহিত করে ? সম্পাদকের প্রবন্ধ সমস্তও আপনার অপর মহিমা নিরস্তুর ঘোষণা করে । পবিত্র বামুরে বুদ্ধি না পাইলে লেখনীমুখ হইতে তৎসমস্ত বিনির্গত হওয়া কদাচ সম্ভাবিত নছে । সম্পাদকের পুস্তক সমালোচন পাঠ করিয়া আমার বোধ হয়, যেন প্রভু স্বয়ং আসিয়া সে সময় লেখনী গ্রহণ করিয়া দীনহীন সম্পাদকের সহায়তা করেন । প্ৰভু আপনি সম্পাদকের সম্পাদক । আপ নার অনন্ত দয়া । অপার মহিমা ! “ত্রাহি মে পুওরীকক্ষ ।” গুৰুদেব ! ঐ যে নিরীহ ব্যক্তি সমবেত বালকমণ্ডলী পরিবেষ্টিত হইয়া গম্ভীরভাবে শিক্ষকতা করিতেছেন, র্তাহাকে দেখিলে আমার মনে আপনার অচিন্ত্য মহিমা সমুদিত হয় । আপনার দেব প্রকৃতি, তাহার পরিবর্তন নাই । যাহা মূলে জানিয়াছেন, অদ্যপি তাহাই জ্ঞাত আছেন ; আপনার বুদ্ধির অন্যথা নাই। সমভাবে, সমধৰ্ম্মশীল হইয়া নিয়মিত কার্য্যে, আপনার পবিত্র জীবন পর্যবসিত ছইতেছে । শিক্ষকের পক্ষেও অবিকল সেইরূপ। র্তাহারা যাছ শিথিয়াছেন, ওহাই শিখাইতেছেন । র্তাহীদের জীবনও আপনার ন্যায় সমভাবে প্রবাহিত হইতেছে। প্রভুর আর এক গুণ শিক্ষক শরীরে সবিশেষরূপে লক্ষিত ছয়। প্রভু যদি রাগত হন, তাছা মর বানর } vეა ფ ছইলে উভয় হস্তে সম্মুখস্থ ক্ষুদ্র মানবকে চপেটাঘাত করিয়া থাকেন এবং মুখ খিচাইয়া স্বীয় পবিত্ৰ মনোছর বদন মণ্ডলকে বিকৃত করিয়া থাকেন ; শিক্ষক শরীরে সময়ে সময়ে এই সকল গুণ সবিশেষ পরিলক্ষিত হয় । তাছাদের উপরে দয়াময়ের সমূহ কৃপা না থাকিলে কখনই এরূপ হুইবার সম্ভাবনা নাই । ভগবন্‌ ! আপনি শিক্ষকের শিক্ষক, আপনি মানবের মহাগুৰু । অধীনকে দয়া করবেন ! পুৰুষোত্তম ! যে সকল ব্যক্তি গ্রন্থ লিখিয়া অধুনা মাতৃভাষার পুষ্টি সাধন করিতেছে, তাহীদের প্রতি কি আপনার কৰুণ নাই ? এ মহৎকার্য্য আপনার অনুগ্রছ ব্যতীত কিরূপে ঘটিতে পারে ? অামি দেখিতে পাই তাছার ভবদীয় মাহাত্ম্য বলেই ঐ গুৰুকার্য সম্পন্ন করিয়া থাকে । তাহারা মখন অহমিকা পূর্ণ হইয়া গম্ভীরভাবে বসিয়া থাকে এবং আলাপ প্ৰভ্যশী জন গণের সহিত মস্তক আন্দোলন ও দস্ত • বাহির করিয়া ছাসেন, তখন প্রভুর মূৰ্ত্তি মনে পড়ে। প্রভুর অবস্থা সময়ে সময়ে অবিকল ঐরুপ হয়। প্রভু যখন শাখাদ্বয়ের সন্ধিস্থলে গম্ভীরভাবে উপবেশন করিয়া থাকেন, তখন আপনার সম্মখে কোন মানব’ উপস্থিত হইলে, আপনি গ্রন্থকারগণের ন্যায় মস্তক অ’ন্দোলন করিয়া দস্ত বাছির করিয়া