পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩২৪

জ্ঞানাঙ্কুর জ্যৈঃ, ১২৮৩) নর বানর } \రి 3 : ইছ অবশ্যই সবিশেষ আনন্দের কথা রিত রাখিবার নিমিত্ত আমাদের বিচ তাহদের দ্বারা অবশ্যই দেশের হিত সাধিত হইবে। তাহদের অনুরাগ এভ প্রবল যে,তাহারা ষৎকালে তদগত চিত্তে প্রভুর চিন্তায় নিমগ্ন হয়, তখন যেন বোধ হয় যে, তাহারা প্রভুর অরুতিও প্রাপ্ত হইয়াছে । তাহারা যখন , প্যান্টালুন পরিধান, টাইট চাপকগন গায়, নেত্রে চস মা, বদনে চুরট দিয়া, যষ্টির উপর ভর করিয়া দণ্ডায়মান হন, তখন আমি তাহাদিগকে মূৰ্ত্তিমান হনুমানবতার বিবেচনায় ভক্তিভাবে বার বার নমস্কার করি ; এবং আমার চক্ষু দিয়া অবিরল প্রেমাগুরু নিঃসৃত হয় । আপনার ন্যায় স্বেভাবয়ব করিবার নিমিত্ত র্তাহার স্বেত পরিচ্ছদ পরিধান করেন । কখন কখন কৃষ্ণবর্ণের পরিচ্ছদ ধারণ করিতেও দেখা যায়। প্রভুর অন্য বর্ণে এক অংশ আছে। কৃষ্ণবর্ণ পরিচ্ছদ ধারণ সেই অংশের অনু করণে। প্রভুর লোচন যুগল পিঙ্গলবর্ণ। লোচন প্রভুর সদৃশ করিবার জন্য আমাদের সুযোগ্য ভ্রাতৃবর্গ তাহা পিঙ্গলীবরণে আবরিত করিয়া রাখেন। প্রভু লঙ্কাদহন কালে দগ্ধ লাঙ্গুল বার বার বদন মধ্যে দিয়াছিলেন । ভগবান যে কষ্ট ভোগ করিয়াছিলেন, ভক্তের অবশ্য তাছা স্মরণ করা বিধেয় । সেই স্মৃতি জাগ ক্ষণ অনুজগণ নিরস্তুর ক্ষুদ্র লাস্কুলবৎ দ্রব্য অগ্নি সংযুক্ত করিয়া বদনে রাখিয়া থাকেন। আর আমাদের ভ্রাতৃগণের সামাজিক ব্যবহারের প্রত্যেক অংশ মহাশয়ের অনুরূপ । তৎসমস্তের বিস্তরিত বিবরণ নিষ্প য়োজন। যাহা হউক এ সমস্ত দেখিয়া শুনিয়া বিলক্ষণ আশা জন্মে যে, আজি হউক বা দশদিন পরে হউক, অবশ্যই এই নবীন মহাত্মা, বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ কর্তৃক ভারতের অভু্যদয় হইবে, মাতৃভূমির দুর্দশা ঘুচিয়া যাইবে । নব্য বঙ্গীয় ভ্রাতৃগণ ! তোমাদের জয় হউক । তোমরা সুখে থাক। প্রভু ! আপনি যে দেশের আশাতীত দুর্দশ দেখিয়া ভারতের আশাস্থল নবীন ভারত সম্ভানগণের হৃদয়ে গিয়া আশ্রয় লইয়াছেন, ইহা আপনার নিতান্ত উদারতার পরিচয় । আমার কি ক্ষমতা যে আপনার অসীম মহিমা আমি কীৰ্ত্তন করিব! আমি দীন, অন্য উপায়াভাবে আপনার শ্ৰীপদপঙ্কজে বার বার নমস্কার করি । জগভের কোনূ দিকেই বা আপনার চিহ্ন, অস্তিত্ব ও সত্বা উপলব্ধ না হয়, তাছা বলিতে পারি না । এই জন্যই বলিতেছিলাম— “যে দিকে ফিরাই অঁাখি তোমারি মহিমা দেখি ।”