পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరిపి 8 নাম্নী স্বৰ্গবেশ্য কুষ্ঠরোগাক্রান্ত পুঙ্গের নয়নপথবর্তিনী হওয়ায় কুষ্ঠীর চিত্তবৈকল্য জন্মে, এবং ঐ বেশ্যাকে সম্ভোগ করিবার জন্য তাহীর মম ধারপরনাই ব্যাকুল ছয় । সতী, পতির এতাদৃশ চিত্ত চাঞ্চল্যের কারণ জ্ঞাত হইয়া, তাহাকে স্কন্ধে লইয়া রাত্রিযোগে লক্ষহীরার আবাস উদ্দেশে যাত্ৰা করিলেন । নগর প্রান্তে মাওব্য মুনি শূলোপরি পূর্বকত দুস্কৃতির ফল ভোগ করিতেছেন । তিনি বাল্যকালে কীটপতঙ্গ দিগকে খড়িকায় বিদ্ধ করিয়া যৎপরেশনাস্তি যাতনা দিতেন, এই জন্য পরিণামে শূলদও হয় । শূলে সংস্থাপিত হইয়াও তাছার ধ্যান ভঙ্গ হুয় নাই। র্তাহারই নিম্নদিয়া পতিপরায়ণ} সতী, ৰুগ্ন পতিকে স্কন্ধে লইয়া যাইতে ছিলেন । মাওল্য মুনির পদে ৰুগ্নের মস্তক স্পশ হওয়ায় তাহার ধ্যান ভঙ্গ হইল। তখন শূলের যন্ত্রনায় কাতর হইয়া অভিসম্পাভ করিলেন, “যে দুরাচার আমার ধ্যানের বিস্তু করিয়াছে, স্কুর্য্যোদয় হইবামাত্র তাহার মৃত্যু হইবে।” সতী তৎক্ষণাৎ উদ্দেশ্যস্থান গমনে প্রতিনিবৃত্ত হুইয়া ৰুগ্ন পতিকে লইয়া ঘরে প্রবেশ করিলেন, এবং কহিলেন “আমি যদি সতী হই— আমি যদি কয়মনোবাক্যে পতির সেবা করিয়া থাকি, তবে কার সাধ্য আমাকে বৈধব্য যন্ত্রণ দেয় !” সতীর রস-সাগর । (জ্ঞানীকুর জ্যৈঃ ১২৮৩ অনিষ্ট-সাধন দেবগণেরও সাধ্য নহে । স্থৰ্য্য বিবেচনা করিলেন, আমি উদিত হইলেই সতী বিধবা হইবেন, এবং তাহাতেই আমাকে অভিসম্পতিগ্রস্ত হইতে হইবে । এই ভয়ে তিনি সুমেৰুর আড়ে লুকাইলেন। স্থৰ্য্যোদয় হইল না । সতীর বাক্য রক্ষার জন্য বিধির নিয়ম বিপৰ্য্যস্ত হইল। এই প্রবাদ বাক্য অবলম্বন করিয়া রস-সাগর মহাশয় সমস্যা পূরণ করিলেন। র্তাহার সংগ্রহের ক্রট ছিল না। প্রশ্ন করিবামাত্র এই সকল উদ্ভট ভাব আহরণ করিয়া সমস্যা পূরণ করা সহজ ক্ষমতার বিষয় নছে । দুঃখের বিষয় এমন অসাধারণ ব্যক্তির রচনা সকল লোপ পাইয়া গিয়াছে । আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য! এক জন প্রশ্ন করিলেন, “ললাটে নুপুর ধ্বনি অপরূপ শুনি।" রস-সাগর তৎক্ষণাৎ পূরণ করিলেন – ঐারণধীর প্রেমে বধি। ক্রীনন্দন মদন । দুৰ্জ্জয় মানেতে রাধ মজেছে যখন ॥ কৃষ্ণচন্দ্র সেই মান ভঞ্চম কারণ । পীতাম্বর গলে দিয়া ধরেম চরণ ॥ শেষে পদ মস্তকেতে নিলেন চক্রপাণি । ললাটে নুপুরস্কনি অপরূপ শুনি ॥ । একদা কথায় কথায় এক জন । কছিলেন, “ নিশি অবসান ।” রসসাগর চুপ করিয়া থাকিবার লোক ছিলেন না । পুরণ করিলেন –