পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ যে বিমলার জন্য যোগেশের এই বি পদ, সে বিমলা এক্ষণে কোথায় ? কোথায় সংসার ? কোথায় স্নেহময় খুল্লতাত ? কোথায় পরম শত্ৰ ৰুদ্রকস্ত ? মানবের এ বড় আশ্চৰ্য্য অবস্থা ! এ অবস্থায় শক্র মিত্র নাই, দ্বেষ হিংসা নাই, থলত কপটতা নাই, প্রণয় অপ্রণয় নাই, মায়া মমতা নাই । সংসারের যাবতীয় পূহ, আশা, ইচ্ছা এই অবস্থায় বিলীন হয় । মানবের এ অবস্থা নিতান্ত আশ্চৰ্য্য! যোগেশের মনে এখন আর কামিনীকুল-কুসুম বিমলার প্রণয় নাই, মানবকুল-কলঙ্ক ৰুদ্ৰকাস্তুের শক্রতা নাই, সংসারের কোন প্রবৃত্তিই নাই !!! যোগেশের অচেতন দেহু ধরণী,পৃষ্ঠে নিপতিত রহিল । তাছার বিপদের সময় কেহ জানিল না, কেহ শুনিল না, কেহ দেখিল না । তাহার বিপদে কেছ আtহ বলিল না, কেছ স্থায় হায় করিল না । দেহ-সমভাবে পড়িয়া রছিল । একাদশ পরিচ্ছেদ । সন্ধ্যার অব্যবহিত কাল পূৰ্ব্বে বরদাকান্ত রায় তামাক খাইতে খাইতে স্বকীয় বারামদায় পরিভ্রমণ করিতে ছেন । বরদাকাস্তুের বয়স পঞ্চাশের উপর। মাথার চুলের অৰ্দ্ধাধিক পাকা। বিমলা । জ্ঞামাকুর জৈঃ, داده( তাহার গোপ বড় জাকাল। পাক৷ গোপ কলপ প্রয়োগে কাল মিচমিচে । দেহের বর্ণ-শ্যাম । তনু লোমশ ও স্কুল। আক্ষতি খৰ্ব্ব । বরাদণকান্ত রায় তামাক খাইতেছেন । এমন সময় তথায় গঙ্গাগোবিন্দ মুখোপাধ্যায় উপস্থিত হইলেন। রায় মহাশয়ের মুখে সততা ও সোঁজন্যের ক্রট নাই। তিনি মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে দেখিবা মাত্র যথোচিত ভদ্রতা সহকারে অভ্যর্থনা করিলেন । উভয়ের শিষ্টাচার প্রসঙ্গ সাঙ্গ হইলে নিপতিত কাষ্ঠাসনে উপবেশন করিলেন । রায় মহাশয় কছিলেন,— “মুখোপাধ্যায় মহাশয় ! কি মনে করিয়া শুভাগমন ।” মুখোপাধ্যায় কি বলিয়া প্রসঙ্গ উথাপন করিবেন তাছা ভাবিত্তে লাগিলেন । ক্ষণেক চিম্ভার পর কছি লেন,— - “বিশেষ মনে কিছুই নাই। আপনার সহিত সাক্ষাতাদি করাই উদ্দেশ্য । ৰুদ্ৰকান্ত বাবু আছেন ভাল ?” বরাদাকান্ত যেন কিছু বিষন্ন স্বরে কহিলেন,— - “কাল ইংরাজি পড়ার দোষ বি স্তর।’ গঙ্গাগোবিন্দ বলিলেন,—