পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর জৈঃ, ১২৮৩) বরদাকান্ত যৎপরোনাস্তি বিরক্ত হইয়া বলিলেন,— “আমার ছেলে যা খুসি করিয়াছে, তাহাতে লোকের যা ক্ষমতা থাকে করে যেন । কারো পাচারে আমার এক চালা নয় । আমি কাকেও ভয় করি না । ” গঙ্গাগোবিন্দ বলিলেন,—— “কারো পাচীরে আপনার এক চালা নয় সত্য এবং কাকেও আপনি । ভয় করেন না তাও যথার্থ। কিন্তু রায় মহাশয় ! অধৰ্ম্ম কাৰ্য্য কদিন চাপ রাখিবেন ? পাপের ফল ভুগিতেই হইবে । আমি আপনাকে বলিতেছি আপনি সাবধান হউন, পুত্রকে সাবধান কৰুন এবং বিমলা কোথায় আছে, বলিয়া দিউন ৷” বরদাকান্ত উঠিয়া দাড়াইলেন। কছিলেন,—

  • আপনি কি আমাকে ভয় দেখাতে এসেছেন নাকি ? সাহস তো মন্দ নয় । * *

গঙ্গাগোবিন্দ বলিলেন – “সাহস আসাহসের কোন কথা নাই । আপনাকে ভয় দেখাতেও fর আসা নয় । আপনি প্রবীণ । ভাবিয়ছিলাম অপনি এ সকল শুনিলে অবশ্যই কোন সদৃযুক্তি হইবে। বুঝিলাম, তাছা হইবে না । আমার অপরাধ কি ? : প্রকৃত কথা বলিয়া ৩২৫ যাই । কন্দ্রকান্ত কত যাবতীয় দুস্কৃতি লোকে এতদিন সহ্য করিয়াছে । কিন্তু এ কার্য্য কেহ সহ্য করিবে না। জানিবেন, এ জন্য প্রাণপণ চেষ্টা হুইবে । ” বরদাকান্ত বলিলেন,— আপনি যান.তার তদ্বির কৰুন গে ৷ সাহসের কথা ও মনদ নয় ।” এই বলিয়া বরদাকান্ত রায় সে স্থান ত্যাগ করিয়া উঠিলেন। ক্রোধে র্তাহার মুখ বিবর্ণ হইল। দেচ কঁাপিতে লাগিল । আবার বলিলেন,— “অস্পশদ্বা কম নয় । লোক সব বড় বাড়িয়ে তুলেছে। এর প্রতিবিধান না কল্পে নয় ।” সম্পত্তিশালী, দুৰ্দ্দান্ত ও দুবিনীত ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গেলেও সে ভাবিয়া থাকে যে, তাহাকে গলি দেওয়া ছইল । যাহর মত ও অভিপ্রায় নিৰ্ব্বিবাদে সম্পন্ন ও পরিচালিত হইয়া থাকে, সে কখন ঘটনাক্রমে তাহার অভিপ্ৰায়ের অন্যথা বা প্রতিবাদ হইতে দেখিলে যৎপরেশনাস্তি ক্ষুন্ন হয় ও মৰ্ম্মান্তিক যাতনা পায়। অভ্যাসের দোষেই এরূপ ঘটিয়া থাকে। এই জন্যষ্ট বরদণকান্তু মনে করিতে লাগিলেন যে, গঙ্গাগোবিন্দ প্রতি বাক্যে র্তা ছাকে অযথা অপমানিত করিলেন । এ সিদ্ধান্ত মনে হইয়া র্তাহার আরও যাতনা হইল । তিনি