পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৩ মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন, যেমন করিয়া হউক এ অপমানের প্রতিশোধ দিতে হুইবে । দমন না করিলে পৰ্দ্ধা আরও বাড়িয়া উঠিবে। গঙ্গাগোবিন্দ দেখিলেন, বরদীকান্ত নিতান্ত বিরক্ত হইয়াছেন । র্তাহার সহিত অণর . কথাবার্তা হওয়া অসম্ভব । বলিলেন, — "মহাশয় আমি এক্ষণে চলিলাম।” বরদাকান্ত সে কথার কোনও উত্তর দিলেন না। গঙ্গাগোবিন্দ বিরক্ত, দুঃখিত ও বিমর্ষ হইয়া প্রস্থান করি লেন । যখন গঙ্গাগোবিন্দ বাটী ফিরিলেন তখন রাত্রি অনেক । তঁহীর মনের অবস্থা বড় ভয়ানক । কথঞ্চিৎরপে অfহারাদি শেষ করিয়া গঙ্গণগোবিন্দ শয়ন করিলেন কিন্তু নিদ্ৰা আসিল না। কোথায় যে গেশ ? কোথায় বিমলা ? অত্যাচারী ক্ষমতাবান ব্যক্তি নিয়ত অত্যাচার করিবে,তাহা অবাধে সহ করিতে হইবে, এ চিন্তু তাহার পক্ষে বিষম হইয়া উঠিল । মনুষ্য মন স্বভাবতঃ স্বাধীনতাপ্রিয় । স্ব স্ব স্বাধীন মত ব্যক্ত করিতে ও তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিতে মানব নিতান্ত ব্যাকুল । গঙ্গাগোবিন্দ বরদাকাস্তের এবম্বিধ ন্যায়বিৰুদ্ধ ও যুক্তিবিৰুদ্ধ প্রভুতায় যৎপরোনাস্তি ব্যথিত হইলেন। প্রতিজ্ঞ করিলেন, আজি হউক, বা কালি হউক বরদা বিমল । و مواد د trs چst Rix) কাস্তুের গৰ্ব্ব খর্ব করিতেই হইবে যেরূপে হউক, ৰ্তাহার এ অন্যায় দৰ্প চূৰ্ণ করিতেই হইবে । গঙ্গাগোবিন্দের | মন এবম্বিধ চিন্তা পরম্পরায় অস্থির হইয়া উঠিল। নিদ্ৰা আসিল না । রাত্রি অনেক হইল। তিন প্রহর অতীত । পৃথিবী নিস্তব্ধ, শান্ত ও ' স্থির। শৰু শম্ শব্দে নৈশ সমীর প্রধাবিত হইতেছে । চন্দ্র দেব মেঘ হইতে মেঘান্তরালে লুকাইতে লুকাইতে সত্ত্বর স্বকার্য সাধন করিয়া পলায়ন করিতেছেন । আকাশ নিৰ্ম্মল ও প্রশান্ত–যেন অনন্তলীলা সমুদ্র | আ- | কাশ হাসিতেছে, তাছার তারা হাসিতেছে, তাছার চন্দ্র হাসিতেছে । এত | হামি কেন হাসে ? পৃথিবীর রঙ্গ দেখিয় তাহারা সকলে হাসিতেছে । ফলতঃ রাত্রিতে ধরণীর অনেক রঙ্গ । দিনে মানবগণ কাৰ্য্য লইয়া ব্যস্ত হয়, সংসার মহা কোলাহলে পরিপূর্ণ থাকে সত্য কিন্তু তখন এত রঙ্গ থাকে না । আকাশ চন্দ্র, তারা রজনীর রঙ্গের চিরন্তন স্বাক্ষী, সেই জন্য তাহদের এত হাসি। ছামুক—হাসিতে, উপহাসে বা বিদ্রুপে এ রঙ্গ কমিতেছে না বরং বাড়িতেছে । প্রকৃতি নিস্তব্ধ, শাস্তু ও স্থির । - সহসা একি বিপদ ? গঙ্গাগোবি-. ন্দের গোশাল, রন্ধনশালা, নিৰাসগৃহ সমস্ত এককালে ধু ধু শব্দে