পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪৭

vరిచి: ছইল, বেলগেচিয়ার আটচালা নিপাতিত হইল, হগ সাহেব ও দিগম্বর মিত্রের উপাধি পুরাণ হইয়া গেল, ক্রমে যুবরাজের আগমন বাৰ্ত্তা কিম্বদন্তী স্বরূপ হইয়া উঠিল, সে কথা সকলের রসন ত্যাগ করিল । কিন্তু বাঙ্গালীর লেখনী তো আজিও থামিল না ! এত কাল পরে বাবু পাৰ্ব্বতী নাথ চট্টোপাধ্যায় মণিহারাফণী ভারতজননী লইয়া উপস্থিত। পাৰ্ব্বতী বাবুর বিজ্ঞাপন দেখিয়া বুঝা যায় যে, অসঙ্গতি হেতু তিনি ইহা যথাসময়ে প্রকাশ করিতে পারেন নাই। অধুন দানশীল মহারাণী স্বর্ণময়ীর সাহায্যে প্রকাশিত করিয়াছেন । কিন্তু আমরা বলি, এ সময়ে উহা প্রকাশিত না হইলে ভাল হইত। ওরূপ পুস্তকে যে সকল কথা ও যে সকল ভাব বর্ণিত থাকে, তাহা সমুচিত সময়েই কাৰ্য্যকরী ও হৃদয়গ্রাহী হয় । ‘নীলদর্পণ’ নাটক যদি এখন প্রকাশিত হুইত, তাছা হইলে তাহা এরূপ সমাদর ও প্রতিষ্ঠা পাইত কি না সন্দেছ। ‘ভারতভিক্ষা' যদি অদ্য প্রকাশিত হইত,তাহা হইলে তাহা কখনই এভ হৃদয়গ্রাহী ছইত না । এবম্বিধ পুস্তক সমস্ত সময় সাপেক্ষ । পাৰ্ব্বজী বাবু এখন আর ইহা প্রকাশ করিয়া বুদ্ধির কার্ষ্য করেন নাই । যাদ্ধাই হউক পদ্যট মন্দ হয় সমালোচন । (জ্ঞানাঙ্কুর জৈঃ, داده নাই । অধিকাংশ স্থলেই হৃদয়গ্রাহী ও উত্তেজক হইয়াছে। নানা স্থানে ভাষার দোষ ও মিলের দোষ লক্ষিত হইল । গ্রন্থকার ভবিষ্যতে পদ্য লিখিবার সময় উক্ত দোষ সমস্ত পরিহারের চেষ্টা করিবেন । গ্রন্থের কথা সমস্ত অধিকাংশই পুরাতন । ভারত-বন্দিনী । (রূপক) ঐমনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা কর্তৃক বিরচিত। ঐযুক্ত যোগেশ চন্দ্র গুহ ঠাকুরতার অর্থানুকূল্যে প্রকাশিত । বরিশাল সভ্যপ্রকাশ যন্ত্রে শ্রী দ্বারক! নাথ বসু প্রিন্টার দ্বারা মুদ্রিত। সন ১২৮২ । ২৫ শে চৈত্র । ة لةiهله آ আনা । যবন ও ভারত আমাদের জ্বালাতন করিয়া তুলিল । আজি কালি যবন বিদ্বেষ-বিধায়ক গ্রন্থ অধিক পরিমাণে প্রচারিত হইতেছে । এ যবন কাহারা ? এবম্বিণ গ্রন্থ সমস্ত পাঠ করিয়া বোধ হয়, মুসলমানগণই যবন শব্দের লক্ষ্য । যদি তাছা হয়, তাহা হইলে এ অসময়ে, উনবিংশ শতাব্দীতে, যবন বিদ্বেষ সমুৎপাদনের চেষ্টা হইতেছে কেন ? : যবনদিগের অত্যাচার সমস্ত স্মৃতি হইতে বিলুপ্ত হওয়াই ভাল ; সেই অত্যাচার সমস্ত বর্ণনা করিয়া কাব্য লেখার প্রয়োজন নাই । যবন ভারতে আধিপত্য ও অত্যাচার করিয়াছিল সত্য, কিন্তু এক্ষণে যবন ভারত ভূমি