পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান কুর অf৪, ১২৮৩) ষ্ট্রপঞ্চমী । \LO ‘) ভ্রপঞ্চমী l অষ্টম পরিচ্ছেদ । যখন বৃক্ষ বাটিকায় পূৰ্ব্ব অধ্যায় বর্ণিত ঘটনা হইতেছিল, তখন আনন্দ- | ময়ীর কক্ষে এক বিষম সমস্যা উপস্থিত হইয়াছে । আনন্দময়ী উপবিষ্ট, সম্মুখে শশিশেখর দণ্ডায়মান । যেন একটু পূর্ব হইতেই তাছাদের কথা বার্তা চলিতেছিল। শশিশেখর কহিলেন,—

    • তা বলিলে কি হয় ? অামার এ

বিবাছে মত নাই । অনেক দিন অবধি আমি ভোমণর অভিপ্রায় জানিতে পারিয়াছি—আমার সাক্ষণতে এত দিন ভাঙ্গিয়া বল নাই—সুতরাং আমিও কোন কথা বলি নাই। আজ তুমি মনের কথা ভাঙ্গিলে, আমিও মনের অভিপ্রণয় প্রকাশ করিলাম । বলিতে কি, —সুকুমারী আমার মনের মত হইবে না ।” আনন্দময়ী জিজ্ঞাসা করিলেন

    • ८य ?'* “

শশিশেখর কছিলেন,— “কেন আবার কি ? আমার ইচ্ছা নয়,—সুকুমারীকে আমি কখনই বিবাহ করিব না। আমি স্বীকার করি, তোমার স্বকুমারী সুন্দরী, কিন্তু যে সকল গুণে আমি মোছিত হুই, তাছার একটি গুণও সুকুমারীতে নাই ।” আনন্দময়ী কছিলেন,→ 33 “তোমার নিতান্ত অদৃষ্ট মন্দ । সুকুমারীর রূপ গুণ দেখে তাকে দেবকন্যা বলে বোধ হয় । তুমি যেমন অসার ও অপদার্থ, কণনা ঘোষালের মেয়ে ভূতী তোমার উপযুক্ত পাত্ৰী ।” শশি কছিলেন,— “মা তুমি ঠিক অনুভব করেছ, বাস্তবিক অামি তাকেই মনোনীত করেছি। অামার চক্ষে গুণকে দেবকন্যা বলে বোধ হয়। অম্প দিনের মধ্যেই আমি ত’কে রায় বাগানের অধিশ্বরী করিব স্থির করেছি।” আনন্দময়ী দেবী ক্রেপথে অধীর হইয়া কছিলেন, “বংশ গেরির স্মরণ কর । ভুতীকে তুমি কখনই বিবাহ করিতে পাবে না ।” শশিশেখর রূঢ় স্বরে কছিলেন,— “তাকে বার বার ভূতী ভূতী কর না—ভুবনমোহিনী বলে ডাকৃতে কি তোমার গায় কাটা ফোটে ?” আনন্দময়ী পুনরায় ক্রোধভরে কছিলেন,— “কঁগনা ছেলের নাম পদ্মলোচন,–ভুতী আবার ভুবনমোহিনী ছলে । তা বাই হউক, তাকে বিবাহ কত্যে পাবে না ।” . - শশিশেখর কছিলেন, “আইবুড়ে থাকিব, তথাপি ভুবনমেছিনী ভিন্ন অপর কোন রমণীর পাণিগ্রহণ করিব না।”