পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ご)、うグ অনন্দময়ী কছিলেন,— ‘ভাঙ্কণকে বিবাহ করে এনে আমার গুছ অপবিত্র করিতে পাইবে না । তোমার কি কুলমৰ্য্যাদ জ্ঞান নাই ।” শশিশেখর হাসিয়া কছিলেন,— “কুলমৰ্য্যাদা আবার কি ? টাকা থকৃলেই সব হয় । টাকায় কুলীন, টাকায় বড় লোক, টাকায় মর্য্যাদা । ” ভানন্দময়ী ক্রমেই অধিক বিরক্ত হইতে লাগিলেন । এবার গম্ভীর ভাবে কৰিলেন, “টাকাতেই সব ছয় বটে ! তোমার সম্মুখে যে ঘোর বিপদ ভা তুমি দেখতে পাইতেছ না। টাকার অহংকার তোমার শীঘ্রই ঘুচিবে । তুমি যে প্রকার কুলাঙ্গার, তাতে রায় গোষ্ঠীর সহিত তোমার কোন সংশ্ৰব থাকা উচিত নয়। যদি তুমি কানা ঘোষালের কন্যাকে বিবাহ কর, তবে চিরদিনের জন্য টাকা, মান ও মর্যাদায় বঞ্চিত ছবে ।” শশিশেখর হাসিয়া উঠিলেন, র্তাহার মুখ ভঙ্গিতে যেন নিতান্ত উপেক্ষ লক্ষণ দৃষ্ট হইল। তিনি কছিলেন,— “তোমার নিতান্ত অনধিকার চচর্চা দেখিতেছি,— আমাকে স্বনে মনে বঞ্চিত করিবার তুমি কে ? আমি আর এখন নাবালক নই। এত দিন যে তুমি নিৰ্ব্বিবাদে ধন সৌভাগ্য ভোগ করেছ এই যথেষ্ট , এখন আর তা খ্রীপঞ্চমী (জ্ঞান কুর তাঃ, ووأد لا হবেনা। অার এ বাড়ীতে তোমার থাকিবার অধিকার নাই । যদি সহজে যাও--ভালই । মুরসিদণবাদে আমাদের পূর্বপুৰুষদের যে গঙ্গাবাসের বাটী আছে তথায় যাও, নিয়মিত মাসিক খরচ পাইবে । যদি সহজে না যাও, তবে গলায় হাত দিয়া দূর করিয়া দিব । এখন আমি কর্তা, তা জান ? এই বাড়ীতে এখন আমার আজ্ঞাই প্রবল হবে । আমি তোমার সাক্ষাতে প্রকাশ করে বলছি, ঘোষালনন্দিনী ভুবনমোহিনী আমার স্ত্রী হইয়াছেন । আমাদের বিবাহ হইয়। গিয়াছে।” আনন্দময়ী কহিলেন,—“কি ? বিবাহু হইয়া গিয়াছে ! এত দূর সাহস !” শশিশেখর কছিলেন,— ‘তিন মাস হইল আমাদের বিবাহ হইয়াছে । আর এক সপ্তাহ পরে ভুবনমোহিনী আসিয়া গৃহের অধিশ্বরী হইবেন ।” আনন্দময়ী কছিলেন,— “কিসের অধিশ্বরী হইবে ? এ সকলে তোমার কিছুমাত্র অধিকার माझे ॥” শশিশেখর কছিলেন,— “সে কথা বলে তোমার বোকা বুঝাইভে হইবে না। আমি আমার মতামহের দানপত্র দেখিয়াছি। বিষয় বিভব যাহা কিছু আছে, সকলই আমার, এক কপদকেও তোমার অধিকার নাই । § {