পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o8 o একবারে লুপ্ত হয়। কি করেন, মনুষ্যের হাত নয় । আমাদের বিবাহ দিলেন । বংশের নামটা বজায় রাখিবার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করিয়া উভয় জামাতাকে রায় উপাধি দেওয়াইলেন, এবং নবাব সরকার হইতে হুকুম বাছির করিলেন যে, উভয় কন্যার প্রথম যে পুত্রসন্তান হইবে, সে রায় উপাধি পাইবে, এবং সেই পুত্রের বংশ পরম্পর চির দিম রায় উপাধি ধারণ করবে। আর সেই পুত্র তাঁহার সমুদায় বিষয় বিভলের অধিকারী হইবে । নতুবা উভয় কন্যা কিছু কিছু বিষয় পাইবে এবং অবশিষ্ট বিষয় অন্যান্য সৎকৰ্ম্মে ব্যয় হইবে, এরূপ এক দানপত্র করিলেন । ক্রমে আমি এক কম্যা সন্তান প্রসব করিলাম । আমার স্বামী বিষয় লাভে মিতান্তু ছতণশ হইয়া কি পরামর্শ করিলেন, আমার পিতার সমস্ত বিষয় হস্তগত করিবার লোভ জম্মিল । আমি প্রসব যন্ত্রণা হইতে চৈতন্য পাইয়া দেখি, আমার ক্রোড়ে পুত্ৰ সন্তান রহিয়াছে। আমি এ বিষয় জানিবার পূর্বে রায়ের পুত্ৰ সন্তান হইল এরূপ রটনা হইয়া গিয়াছে। শ্রীপঞ্চমীতে এই ঘটনা ঘটে । অামি কন্যার জন্য অনেক র্কাদিলাম, কিন্তু এ ব্যাপারের বিস্তু-বিসর্গও জানৃত্তে পারিলাম না। স্বামী পাছে অপমানিত হন, এই ভয়ে এ কথা খ্রীপঞ্চমী । (জ্ঞfনfকুর আঃ, ১২৮৩ প্রকাশ করিতেও পরিলাম না । পর বৎসর আমার ভগিনীর মৃত্যু হুইল , র্তার সন্তান ছয় নাই শুনিয়া কতক শান্তু হুইলাম । আমি তখন মনকে এই বলিয়া প্রবোধ দিলাম যে, এই বিপুল ধনরত্নে আমরা উভয়েই তুল্য ংশী । নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যু হওয়ায় আমার দ্বারা তাহার কোন বিশেষ ক্ষতি হয় নাই। শুনিলে শশিশেখর ! তুমি আমাদের সন্তান নও।” শশিশেখর স্তম্ভিতভাবে কথা গুলি শুনিলেন । কহিলেন,— “ষদি তোমার কথা গুলি সত্য হয়, তবে এ পাপে ঘোরতর দণ্ড তা জপন ।” আনন্দময়ী গৰ্ব্বিত ভাবে কছি লেন,— “জানি । কিন্তু বংশ মর্য্যাদার কলঙ্ক হওয়া অপেক্ষা আমি সে দণ্ড ভোগ করিতে প্রস্তুত আছি। ” শশি শেখর কহিলেন,— “এ কথা তুমি প্রমাণ কত্যে পারবে না।" আনন্দময়ী কহিলেন,— “প্রমাণ আমার নিকটেই আছে।' শশিশেখর জিজ্ঞাসিলেন,— ‘ভবে কে আমার জনক জননী ?” আনন্দময়ী উত্তর করিলেন,— “তোমার পিতা নাই, মাতা હારે নম্রভাবে