পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৯

७8रे লেন,— “এ সকল কথা প্রকাশ করিবার প্রয়োজন নাই ।” মন্দাকিনী তাহতে স্বীকার করিলেন । মন্দাকিনী ও শশিশেখর কক্ষ হইতে বাহির হইবার উপক্রম করিতে- | ছেন, এমন সময় সুকুমারী কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিলেন । মন্দাকিনীর প্রতি দৃষ্টি করিয়াই তিনি যেন স্তম্ভিত হইলেন । মনে মনে কহিলেন “ইনি কি অদ্যাপি জীবিত অাছেন । আমার মা সৰ্ব্বদা বলিতেন ইনি অtমার পরম আত্মীয় ।” মন্দাকিনীও সুকুমারীর সুবদন দৃষ্টে যেন কোন কালে দেখিয়াছেন বোধ করিতে লাগিলেন । তিনিও স্তম্ভিত প্রায় হইলেন । আনন্দময়ী উভয়ের মুখের ভাব দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন । মনে মনে কতই তর্ক করিলেন । শেষে সুকুমারীকে জিজ্ঞাসা করিলেন,— “মা সুকুমারি ! মন্দাকিনীকে দেখে তোমার কারে মনে পড়ছে বাছা ? অামার মনে ঘোরতর সন্দেহ হয়েছে, শীঘ্ৰে বলে আমার মনোবেগ দূর কর।” সুকুমারী কহিলেন,— “আমার মা অণমণকে এক খানি চেহারা দিয়ে সৰ্ব্বদা বলতেন, ইহাতে ঔপঞ্চমী | | | | i | i i نمواد ffg Sت : ffقک ) আনন্দময়ী মন্দাকিনীকে কহি- | যার চেহারা আঁকা আছে, ইনি (उशद्ध পরম আত্মীয়—এমন কি ঠিক মায়ের মত । আমার সেই চেহারা ঠিক মনে পড়েছে। আমি একে কখনও দেখি নাই । শুধু সেই চেহারায় উত্তম বুঝতে পারছি । সে চেহারা খানি আমার কাছে অাছে।” এই বলিয়া অঙ্কিত চিত্ৰপট খানি আনিয়া দিলেন। আর কিছুই জানিতে অবশিষ্ট থাকিল না । মন্দাকিনী কছিলেন,— “দেবি ! কি আশ্চর্য্য ঘটনা ! আপনি আমাকে আমার পুত্র দিলেন, আমি ও আপনাকে অণপনার কন্য দিলাম। এই পটে আমারই মূৰ্ত্তি অঙ্কিত, আমি পূর্বেই এই অঙ্কিত পটের কথা বলিয়াছি। সুকুমার আপনর কন্যা ।” আনন্দময়ী দেবী পুলক শ্রী ত্যাগ করিতে করিতে কহিলেন,— “বিধাত তুমি ধন্য ! সুকুমার! আমি তোমাকে পেলাম—তুমিই আমার সেই হারা নিধি প্রিয়তম কন্যা । স্বভাবে স্নেহ টানিয়া আনে। আমি তোমাকে ঠিক কন্যার ন্যায়ই স্নেহ করিতাম । এস মা ! আমার কোলে F এই বলিয়া সুকুমারীকে ক্রোড়ে লইয়া বার বার মুখ চুম্বন করিতে লাগিলেন । মন্দাকিনী শশিশেখর