পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অ’, ১২৮২) যখন নামাবলী গায়ে, গঙ্গামৃত্তিকা লেপিত দেছ কুশাসনাসীন হইয়া জপ রত থাকিত তখনও বাঙ্গালী যে ভদ্র, আর এখনও বাঙ্গালী, চুরট মুখে, কোট গণয়ে, চেয়ার সমাসীন হইয়া সংবাদ পত্র পাঠ করিতেছে তথাপি সেই ভদ্র । ভদ্রত যদি দোষ হয় ক্ষিতীশ-বংশাবলি-চরিত। v9. যখন আশ্চর্য্য হুৰ্ম্ম্য সমস্ত বিদ্যা মন্দির রূপে নিৰ্ম্মিত হইয়া নগরের ঐসম্পাদন করে নাই, যখন ফাউলরের লজিক প্রাচীন ন্যার শাস্ত্রের ও এবরক্রম্বর ফিলজফি দর্শন শাস্ত্রের স্থান থিকণর করে, নাই, তখন নবদ্বীপ বঙ্গদেশের }ষণ ছিল । হবিষ্যাসী, ধৰ্ম্মরত, লাঙ্গালী জাতি ভদ্রতা দোষে দোষী L "একাহারী ভট্টাচাৰ্য্য মহাশরেরা তখন বাঙ্গালীর ভদ্রতাই বাঙ্গালীর গৌরব । তাহারা আর কিসের গর্বব করিবে ? এই ভদ্রতা হেতু ভারতে বঙ্গালী প্রধান । এই জন্যই বাঙ্গালী ভারতের মুখপাত । যত দিন ভারত থাকিবে ততদিন বঙ্গভূমির এ গৌরব লুপ্ত হইবে না । ততদিন বঙ্গের ভদ্রতা কেহই ভুলিবে না। বঙ্গের যে কিছু উন্নতি, বিদ্যা সম্বন্ধে যে কিছু গৌরব, তাছা বিগত বঙ্গীয় রাজধানী নবদ্বীপ হইতে সমুভূত। এক শত কয়েক বর্ষ মাত্র কলিকাতা বঙ্গের প্রধান স্থান হইয়াছে । সভ্যতা, ৱিদ্যা, রীতি, সমাজ শাসন সকলই এখন কলিকতু হইতে জন্ম গ্রহণ করিয়া চতুর্দিকে বিকীর্ণ ጙ তেছে। কিন্তু পূর্বের অবস্থা অন্যরূপ ছিল। যখন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, যখন দোদুল্য টানা পাখার হাওয়া খাইতে খাইতে চেয়ারে বসিয়া, খেতাবয়ব অধ্যাপকগণ শ্বশ্ৰু কওয়ন করিতে করিক্তে উপদেশ দিতেন না, অকাতরে অসংখ্য ছাত্রের অধ্যাপনা করাইভেন ; কেবল অধ্যাপনা নয়— স্বয়ং ভিক্ষা করিয়াও তাছাদের ভরণ পোষণ করিতেন ! ! ! জগতে এরূপ ব্যাপার আর দেখা যায় না । সেই নবদ্বীপ প্রদেশই বঙ্গ রাজ্যের প্রধান স্থান, বঙ্গের উন্নতি সুত্র সেই নবদ্বীপ প্রদেশের সহিত দৃঢ় সম্বদ্ধ। তথাকার রাজবংশই বঙ্গের উন্নতির মুল, নবদ্বীপের জ্ঞান চচর্চার প্রধান "সহায়, দেশীয় সমাজের মস্তক, গুণের পক্ষপাতী ও পুরস্কারক ছিলেন। বঙ্গ দেশে শিল্প ও সাহিত্য সংসারে যদি বিন্দু মাত্র স্থান অধিকারে সমর্থ হয়, সেই রাজ বংশের অকৃত্রিম চেষ্টাই তাছার কারণ । নবদ্বীপের ও অত্রত রাজনবর্গের বিবরণ বিশেষ প্রয়োজনীয় । সকল বঙ্গবাসীরই তাহ সম্যক প্রকারে" বিদিত থাকা আবশ্যক । “ক্ষিতীশ বংশাবলি চরিও” সেই আবশ্বক পূরণ কfরবে । গ্রন্থকার ঐধুক্ত কাৰ্ত্তিকের