পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানীকুর অt:, ১২৮৩) জানিবার জন্য এস্থলে তাহার উল্লেখ নিতান্ত প্রয়োজন বোধ করিলাম । স্বচক্ষে দর্শন করা ও কর্ণে শ্রবণ করা, এ দুইটী পরস্পর অনেক বিভিন্ন । যেটা চক্ষে দর্শন করা যায়, তাহণ কর্ণে শ্রবণ করা বিষয় অপেক্ষ অনেক দিন স্মরণ থাকে, এবং সেই জন্য কখনো কখনো শ্রেত বিষয় সমধিক প্রাচীন বলিয়া বোধ হয় । নুতন মত আবি. ক্ষারক পুরাবৃত্তবিৎ মহাশয় ও লঙ্কাকণ্ডের বর্ণিত বিষয় গুলি স্বচক্ষে দেখিয়া থাকিবেন, অথবা ত’হার কোন বিশেষ কর্য্যে, বিশেষরূপে ক্লভিত্ব লাভ করিয়াছিলেন, সেই জন্যই রামায়ণের বিষয় উপহার মনে সম্পূর্ণরূপে জাগরকরছিয়াছে, সুতরাং অপেক্ষাকত আধুনিক বলিয়া ভঁাহার বোধ হইতেছে । মহাভারতের যুদ্ধে র্তাহাকে প্রয়োজন হয় নাই, সুতরাং তাহার অদৃষ্টে উছার দর্শন ঘটে নাই, এই জন্যই সে বিষয় তাহার অধিক স্মরণ নাই "ইহাতেই তাছার প্রাচীনত্ব প্রতিপাদন করিয়াছেন। তাদৃশ লিখন প্রণালীর, এতদ্ভিন্ন অন্য কারণ আমাদের উপলব্ধি হয় না। পাঠকগণের অভিপ্রায় কি, তাহ তাছারাই বলিতে পারেন । আবার যে সকল মহাত্মারা উহঁর লেজ ধরিয়া চলিয়াছেন, তাছারাও সেই পথের পথিক । এক্ষণে সাধারণে বিবেচনা করুন, প্রলণপ সাগর । \�83, এরূপ গ্রন্থ বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের পক্ষে অমৃত কি বিষ ? মৎপ্রদত্ত ব্যুৎপত্তির সহিত ঈদৃশ ইতিহাসের সম্পূন সামঞ্জস্য আছে কি না, তাহও মহাশয়েরা বিবেচনা করিবেন । কেহ লিখিলেন, “জানকী রামের ভগিনী ।” এস, কে কত ছাসিতে ਾਂ, হাসে । এই প্রবণর কতকগুলি অসম্বদ্ধ প্ৰলাপ সংগ্ৰহ করিতে পারিলে এক খানি অতি উৎক্লষ্ট হাস্যর্ণব গ্রন্থ প্রস্তুত হইতে পারে। এই সকল লেখক “পুরাতত্ত্বজ্ঞ” উপাৰি পাইবার জন্য নিতান্ত ব্যস্ত, যাছা ইচ্ছা তাহাই লিখিয়া ফেলেন । ভারতলাওয়ারিশ খনি হইতে যখন যাহা প্রাপ্ত হন, তখন তাহাই সংগ্ৰহ করিয়া তাহাতে একটু স্বদেশী খাদ মিশাইয়া, দশ জনের নিকট প্রকাশ করেন । বিজ্ঞ লোকে তাহার বিদ্যা ব্রহ্মাও বুঝিতে বাকী রাখেন না, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্যেরা গুটি দুই তিন আল ফেবেট তাহার কপালে আঁটির দিবার জন্য নিতান্ত ব্যস্ত হইয়া পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাইটেল অজ কাল বড় মুল্যবান্‌ পদার্থ ; বোধ হয় নিলাম ডাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ লাভ হইতে পারে। কেছ লিখিলেন, “রাধা নন্দ ঘোষের কন্যা ।" হরি বোল হরি, হেসে হেসে মরি । এই সকল বিদ্যা বাহির করিবার