পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানকুর অfঃ, ১২৮৩) করিলাম, বলিলাম, “প্রেয়সি ! আমার চক্ষে তুমিই সুন্দরী ।” পাঠক, ! তোমার বিবেচনায় কে সুন্দর ? তুমি, না তোমার ভাল বাসা ? পুৰুষ পাঠক, তোমার বিবেচনায় কে नििह, তুমি না তোমার প্রেয়সী ? সুন্দরী পাঠিকা, তোমার বিবেচনায় কে সুন্দর, তুমি না তোমার প্রিয় জন ? সুন্দরীই সুন্দর কি সুন্দরই সুদর এ বিষয়ে মনুষ্যসমাজে মতভেদ আছে। এক্ষণকার পণ্ডিতগণের মধ্যে কেছ২ পুৰুষকেই অধিক সুন্দর বলেন। তাহার কারণও দেখান; বলেন, পুৰুষের সৌন্দর্য্য অধিক দিন স্থায়ী ; পশু পক্ষিগণের মধ্যেও পুংজাতি অধিক মুন্দর ; তাছার সাক্ষী কুক্কুট কুক্ক টী, ময়ূর ময়ূরী, বৃষ গভী, সিংছ সিংহী ইত্যাদি । তাছারা আরো বলেন, বিধাতা পুৰুষজাতিকে অধিক মুন্দর করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। আমরা ঐ বিষয়ে আপনাদের মত বলিতেছি । আমাদের মত এই, স্ত্রী জাতির দৃষ্টিতে পুংজাতি ও পুংজাতির দৃষ্টিতে স্ত্রী জাতি অধিক সুন্দর বা সুন্দরী । আমার প্রেয়সী যে বলিয়াছিলেন, “প্রিয়, ! আমার চক্ষে তুমিই মুন্দর ?” তাহার অর্থ এই, তিনি আমাকে ভাল বাসেন । যে যাহাকে কে সুমদার । ご意> পায় না । ভালবাসার চক্ষে সকলই সুন্দর। শশিতে কলঙ্ক আছে, তুমি বল ; কিন্তু কুমুদিনীকে জিজ্ঞাসা কর দেখি, সে বলিবে ঐ কালো দাগটা না থাকিলে চন্দ্রকে বড় বিশ্রী দেখাইত । আমি যে আমার প্রেয়সীকে বলিছিলাম, “প্রেয়সি ! আমার চক্ষে তুমিই সুন্দরী ” তাহারও কারণ ঐ ! তুমি বলিয়া থাক যে, কমলের কণ্টক বড় অসুখকর । কিন্তু কমলিনীপ্রাণ দিবাকর তাছা বলেন না। তুমি বল যে, রামতনু বাবুর স্ত্রীর চক্ষু দুটা নিতান্ত ছোট, কিন্তু রামতনু বাবুকে জিজ্ঞাসা কর, তিনি বলিবেন, “র্তাহার ভার্য্যার নয়ন যুগল দেখিয়াই ঈর্ষাবশত হরিণী বনবাসিনী হইয়াছে।” তোমার বিবেচনায় হরিবাবুর ভাৰ্য্যা বিশুদ্ধ গোঁরবর্ণ নহেন ; কিন্তু হরিবাবু বলেন, “র্তাহার প্রেয়সীর বর্ণভাতি দেখিয়াই সৌদামিনী ক্ষণস্থায়িনী হইয়াছে।" ছে সুন্দরী পাঠিক ! তুমি বলিয়া থাক, কামিনীর স্বামীর গাত্রের স্বেদবিন্দু সংগ্ৰহ করিলে ইংরাজি কালি প্রস্তুত হয় । কিন্তু কামিনী কেন যে এমন কৃষ্ণকায় স্বামীর প্রেমের এত বণীভুতা, তা সেই জানে। তুমি যাকে ভাল বাস, তোমার চক্ষে সেই সুন্দর । কেন যে নগনন্দিনী আৈতস্বতী দেশে দেশে ভ্রমণ করিয়া সাগরের অন্বেষণ ভাল বাসে, সে তাছাতে দোষ খুঁজিয়া ! করে, তা তুমি কি জানিবে। যে সাগ