পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৬৯

○○Iえ র কল্পোল শুনিলে তোমার অন্তরাত্মা উড়িয়া যায়, নদী অকাতরে তাছাকে আলিঙ্গন করে। কণ্টকময় বৃক্ষে কি লতা বলম্বন দৃষ্টি কর নাই ? কাঠুরিয়া কুঠরাঘাতে ক্রমে২ সে বৃক্ষকে ভূপতিত করে, তবু লতা তাহকে ত্যাগ করে না ; বৃক্ষের সহিত, সে কালের হিন্দু সতীদের ন্যায়, আপনিও প্রাণত্যাগ করে । কিন্তু কেন যে লতা ওরূপ করে, তাহার কারণ তুমি জান না । বাসুকার শুনিলে তুমি হাসিবে। বামুক পৃথবাঁকে এত ভালবাসে যে, এত কাণ বসুধাকে মস্তকে করিয়া বাহুতেছে । । বাসুকীর চক্ষে বসুধা কেন যে এত সুন্দরী, তা তুমি জান না । এক্ষণকার কোন সুন্দরী রূপে গুণে পাৰ্ব্বতীর ন্যায় হইয়া ম৷ভাল শিরোমণি মহাদেবকে বিবাহ করিতে সন্মুত হইবেন ? রমণীরা পুৰুষের গুণ আর ধন খুজেন। শিবের কিছিল ? শিব দরিদ্র হইয়াও ভগবতীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার কারণ ছিল, কেন না পাৰ্ব্বতী সুন্দরী ছিলেন । সুন্দরী রমণীর পাণিগ্রহণ করিতে আপত্তি কি ? কিন্তু পার্বতী কি প্রকার সুন্দরী ছিলেন ? আমরা আণসল পাৰ্ব্বতী দেখি নাই— নকল পাৰ্ব্বতী 'অনেক দেখিয়াছি। পাৰ্ব্বতীর চক্ষু ছিল তিনটা, হস্ত দশটা, আমরা দশহস্ত বিশিষ্ট ত্রিনয়না কোন কে সুন্দর । (জমি ফুর আঃ, ১২৮৩ সজীব সুন্দরী দেখি নাই, সুতরাং দশ হাতে ও তিন চক্ষে কেমন সুন্দর দেখায়, তাছা বলিতে পারি না । কিন্তু পাৰ্ব্বতীর যে প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করা হয়, তাহা অতি সুন্দর , তথাপি যে স্ত্রী লোকের দুই চক্ষের চোখরাঙ্গানি খহলে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, কোন আধুনিক বাঙ্গালী সাহস করিয়া তিন চখে মেয়ে বিবাহ করিত ? আর দেখ, বাঙ্গ{লী, দাস্যবৃত্তি করিয়া জীবিক পৃথিবীর প্রতি ভাল বাসার কথা নিৰ্বাহ করে, ভাৰ্য্যার দুই হাতের গহনা যোগাইতে সৰ্ব্বস্ব যায়, অতএব এক্ষণকার কোন বাঙ্গলা দশভুজ মেয়ে বিবাহ করিত ! কিন্তু মহাদেব পাৰ্ববতীকে বিবাহু করিয়াছিলেন। র্তাহার দৃষ্টিতে ভগবতী নিৰ্দ্ধোৰ সুন্দরী ছিলেন, কেননা চন্দ্রশেখর পাৰ্ব্বতীকে ভাল বাসিয়াছিলেন। ভগবতী মহা দেবকে গুৰুবৎ ভক্তি করিতেন । সেকালে স্বামী স্ত্রীতে ঐ প্রকার ভক্তি ভাব ছিল। ইংরাজ রমণীরা স্বামীকে বন্ধুবৎ জ্ঞান করেন, আর আধ ইংরাজ ও আধ বাঙ্গালী মতে আধুনিক বঙ্গবাসীরা স্বামীকে অনুগত দাসবৎ জ্ঞান করেন। অনেক বাঙ্গালী কোমৃতের শিষ্য, তাছাদের ভার্ষ্যারা আপনাদি গকে দেবতা ও স্বামিদিগকে স্ব স্ব উপাসক জ্ঞান করেন। কিন্তু অমেই বলিয়াছি, পাৰ্ব্বতী মহাদেবকে গুৰুবৎ, ভক্তি করিতেন, এবং বর্তমান বাঙ্গালী