পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ጋoo তল গৃহে যে আলোক জ্বলিতেছে, তাহারই ক্ষীণ ভাতি মাত্র পরিদৃষ্ট হইতেছে । সুরধুনী তীরে এক খানি নৌকা সংলগ্ন। নৌকায় আরোহী নাই,তথাপি নাবিকগণ প্রস্তুত হইয়া রহিয়াছে, যেন এখনি নৌকা ছাড়িতে হইবে। পাহাড়ের উপর ক্লষকের ক্ষেত্র পরিরক্ষণার্থ এক খানি কুটার রছিয়াছে। সেই কুটার হইতে মনুষ্যের অপরিস্ফুট ধ্বনি নিঃসৃত হইতেছে । এই ঘনাদ্ধকরময়ী রাত্রিকালে, পবিত্র সলিল। জাহ্নবী তীরে, কুটীর মধ্যে বসিয়া যুবক যুবতী কঁদিতেছেন ! আলোক নাই । যুবক যুবতীর আকৃতি দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না। দেখিলে বুঝিতে র্তাহীদের দেব কাস্তি । অন্ধকার—দেখা গেল না । অশ্রু সংক্ষুব্ধ স্বরে যুবক বলিতে ছেম,— ‘মনেণরমে ! কাদিয়া কি ফল, চল তোমাকে গৃছে রাখিয়া আসি ।” মনোরম আরও কাদিতে লাগিলেন । কঁদিতে কঁাদিতে কছিলেন,— “নরেন্‌ ! গৃহে কাছার নিকট शाइँद ?' নরেন্দ্র কহিলেন,— “কেন মনোরমে! তোমার বৃদ্ধা জননীর নিকট যাইবে । তুমি ভিন্ন | তাহার আর কে আছে ?" বিমল। (জ্ঞান কুর অtঃ ১১৮৩ মনোরমা কহিলেন,— “তোমারও তো বৃদ্ধ জননী ভিন্ন আর কেছ নাই ।” নরেন্থ কছিলেন,— “সে কথা যথার্থ। কিন্তু উপার্জন না করিলে আমার চলিবে না । অমাকে অগত্য বিদেশে যাইতেই ছইবে । আমার বৃদ্ধা জননীকে আমি যে ত্যাগ করিয়া বিদেশে যাইতেছি, সেও কেবল তোমারি ভরসায় ।” মনোরম ক্ষণেক কি ভাবিলেন । সহসা নরেন্দ্রর কণ্ঠলিঙ্গন করিয়া কাদিতে কঁাদিতে কছিলেন,— “নরেন্‌ ! আমাকে কাছার নিকট রাখিয়া যাইতেছ ! তুমি ভিন্ন আর সকলেই আমাকে ঘৃণা করে । জন সমাজে মুখ দেখাইতে আমার লজ্জা হয়, লোকেও আমার মুখ দেখিতে চাহে না । নরেন্‌ ! আমি কাহার নিকট থাকিব ? নরেন্দ্র দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। মনোরম পুনরপি কহিতে লাগিলেন,— “আমার এ জীবনে কি মুখ হইবে নরেন্দ্র ? যদি তুমি ভাবিয়া থাক ষে, আমাকে মুখে রাখিবে নরেন্দ্র এখনও সে আশা ত্যাগ কর । এ জীবনে আমার অদৃষ্টে মুখ নাই। কিছুতেই সুখ হইবে না। তুমি বৃথা চেষ্টা করিও না। আমি বালবিধবা, দরিদ্রতনয়,